শিরোনাম:
ঢাকা, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
---

Newsadvance24
শনিবার ● ১৯ ফেব্রুয়ারী ২০২২
প্রথম পাতা » চট্টগ্রাম » রামগতিতে শিক্ষক যোগদানে বাঁধা, সভাপতির অব্যহতি চায় শিক্ষার্থীরা
প্রথম পাতা » চট্টগ্রাম » রামগতিতে শিক্ষক যোগদানে বাঁধা, সভাপতির অব্যহতি চায় শিক্ষার্থীরা
২৪৮৭ বার পঠিত
শনিবার ● ১৯ ফেব্রুয়ারী ২০২২
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

রামগতিতে শিক্ষক যোগদানে বাঁধা, সভাপতির অব্যহতি চায় শিক্ষার্থীরা

নিজস্ব প্রতিনিধি, নিউজ এ্যাডভান্স

 

---

কমলনগর (লক্ষ্মীপুর) : লক্ষ্মীপুরের রামগতির ঐতিহ্যবাহী জামেয়া ইসলামীয়া কলাকোপা মাদ্রাসার শিক্ষককে কর্মক্ষেত্রে যোগদানে বাধার অভিযোগ উঠেছে মোহতামিম মু. আলী ও পরিচালনা কমিটির সভাপতি আব্দুল্লাহ আল ইস্রাফিলের বিরুদ্ধে। এ নিয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার বরাবরে একটি লিখিত আবেদন দিয়েছেন ভুক্তভোগী শিক্ষক মাওলানা আখতার হোসাইন। মেধাবী এ শিক্ষককে কর্মস্থলে যোগদানের জন্য দাবি জানিয়ে আসছেন শিক্ষার্থী, অবিভাবক ও স্থানীয়রা। এদিকে বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ এনে মাদ্রাসার পরিচালনা কমিটির সভাপতি আব্দুল আল ইস্রাফিলকে পদ থেকে অব্যহতি দিতে শিক্ষার্থীরা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার বরাবরে আবেদন করেন। অভিযুক্ত আব্দুল্যা আল ইস্রাফিল কমলনগর উপজেলার চরলরেন্স এলাকার বাসিন্দা এবং কেন্দ্রিয় ওলামালীগের নেতা বলে দাবি করেন।

ভুক্তভোগী শিক্ষকের অভিযোগ থেকে জানা যায়, শিক্ষক মাওলানা আখতার হোসাইন অসুস্থ্যতার কারণে গত বছরের ৩০ সেপ্টেম্বর ছুটিতে যান। এক মাস ছুটি শেষে তিনি ফের কর্মস্থলে যোগদান করতে এলে মাদ্রাসার মোহতামিন (প্রধান) ও পরিচালনা কমিটির সভাপতি তাকে যোগদান করতে দেননি। কালক্ষেপণ করতে করতে সাড়ে তিন মাস কেটে গেলেও তাকে ক্লাসে ফিরতে দেওয়া হয়নি। উপায়ন্ত না পেয়ে তিনি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এসএম শান্তুনু চৌধুরীর কাছে লিখিত আবেদন করেন।

শিক্ষার্থীদের অভিযোগ থেকে জানা যায়, ২০১৮সালে সাবেক এমপি আব্দুল্লাহ (আল মামুন) কৌশলে ইস্রাফিলকে ওই মাদ্রাসার সভাপতি করেন। সভাপতি হওয়ার পর থেকে অর্থনৈতিকসহ বিভিন্ন অনিয়ম করে আসছেন। তার মনগড়া বিভিন্ন সিদ্ধান্তের কারণে মাদ্রাসার সুনাম নষ্ট হচ্ছে। নানা অজুহাতে মাদ্রাসার ফান্ড থেকে টাকা আত্মসাত করারও অভিযোগ উঠেছে তার বিরুদ্ধে। এ সব অনিয়মের কারণে শিক্ষার্থী ও স্থানীয়দের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ দেখা দিয়েছে।

ওই এলাকার মুক্তিযোদ্ধা মো. মোসতাক আহমেদ ও মাদ্রাসার দাতা সদস্য মো ইলিয়াছ জানান, মোহতামিম মু. আলী একজন চিহ্নিত রাজাকার। যুদ্ধের সময় এই মাদ্রাসায় রাজাকারদের ক্যাম্প ছিলো। ওই ক্যাম্পের দায়িত্বে ছিলেন এ মু. আলী। মোহতামিম আব্দুল্যাহ আল ইস্রাফিলকে হাত করে প্রতিষ্ঠানের নানা অনিয়ম করে আসছেন। এছাড়াও শিক্ষক মাওলানা আখতার হোসাইনের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়ে তাকে কর্মস্থলে যোগদান করতে দিচ্ছেন না।

এদিকে শিক্ষার্থী মাওলানা আখতার হোসাইনের অনুপস্থিতে মাদ্রাসার পাঠদান ব্যহত হচ্ছে। তারা ওই শিক্ষককে শ্রেণিকক্ষে ফিরে পেতে দাবি জানান।

ভুক্তভোগী শিক্ষক মাওলানা আখতার হোসাইন বলেন, এক মাসের ছুটি শেষে কর্মস্থলে যোগদান করতে গেলে সভাপতি মোহতামিম আমাকে যোগদান করতে দেননি। যে কারণে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে লিখিত আবেদন করি।

এ বিষয়ে জামেয়া ইসলামীয়া কলাকোপা মাদ্রাসার মোহতামিম মাওলানা মু. আলী বলেন, যুদ্ধের সময় এলাকার স্বার্থে আমি শান্তি কমিটির সদস্য ছিলাম। আমি মুক্তিযুদ্ধাদের কোন ক্ষতি করিনি। মাদ্রসার বিভিন্ন অনিয়ম শিক্ষক যোগদানের বাঁধার বিষয়ে তিনি কোন কথা বলতে রাজি হননি।

এদিকে ওই মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটির সভাপতি আব্দুল্লাহ আল ইস্রাফিল বলেন, আমি সভাপতি হওয়ার পর থেকে এ প্রতিষ্ঠানে কোন অনিয়ম হয়নি। তার বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন এ সব বিষয় তিনি জানেন না।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এসএম শান্তুনু চৌধুরী বলেন, দুই পক্ষকে নোটিশ করা হয়েছে। বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা করবো।

 





আর্কাইভ