শিরোনাম:
ঢাকা, বুধবার, ১৫ মে ২০২৪, ১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
---

Newsadvance24
রবিবার ● ২৫ জুলাই ২০২১
প্রথম পাতা » খেলাধুলা » রেকর্ড তাড়ায় সিরিজ জয় বাংলাদেশের
প্রথম পাতা » খেলাধুলা » রেকর্ড তাড়ায় সিরিজ জয় বাংলাদেশের
১৬৪৮ বার পঠিত
রবিবার ● ২৫ জুলাই ২০২১
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

রেকর্ড তাড়ায় সিরিজ জয় বাংলাদেশের

নিউজ ডেস্ক.

 

---

অভিষেক রাঙ্গানোর সুযোগ পেয়েছিলেন শামীম পাটোয়ারী। তার ১৩ বলে ২৯ রানের টর্নেডো ইনিংস সিরিজের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি ম্যাচে জয়ের পথেই ছিল বাংলাদেশ। কিন্তু তার বিদায়ের পর লেজের ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতায় ওই ম্যাচ হেরে যায় টাইগাররা। ওই ম্যাচ ২৩ রানে জিতে সিরিজে ১-১ এ সমতা ফিরিয়ে আনে স্বাগতিক জিম্বাবুয়ে। হারারে স্পোর্টস ক্লাব মাঠে যেখানে শেষ করেছিলেন, ঠিক যেন সেখান থেকেই শুরু করলেন শামীম। গতকাল সৌম্য সরকারের ঝড়ের পর তার টর্নেডোতেই রেকর্ড তাড়ায় জিম্বাবুয়েকে ৫ উইকেটে হারিয়ে টি-টোয়েন্টি সিরিজও জিতলো বাংলাদেশ। এর আগে একমাত্র টেস্টের পর ওয়ানডে সিরিজে জিম্বাবুয়েকে ধবলধোলাই করেছিল টাইগাররা। এদিন বলে হাতে ২ উইকেট আর ব্যাট হাতে ৬৮ রানের ইনিংসে ম্যাচ সেরা হন সৌম্য। সঙ্গে সিরিজ সেরার ট্রফিও ওঠে তার হাতে।

সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচে বাংলাদেশকে ১৯৪ রানের টার্গেট দেয় জিম্বাবুয়ে। এর আগে এতো রান টপকে একবারই জয়ের নজির ছিল বাংলাদেশের। ২০১৮ সালে নিদাহাস ট্রফিতে শ্রীলঙ্কার দেয়া ২১৫ রানের লক্ষ্য তাড়া করে ৫ উইকেটে জিতেছিল লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা। তবে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে বাংলাদেশ এর আগে সর্বোচ্চ ১৬৪ রান টপকে জিতেছিল ২০১৬ সালে, খুলনায়। এবার সে রেকর্ড পাড়ি দিয়ে নতুন রেকর্ড গড়েছে টাইগাররা। তবে রেকর্ড গড়া জয়ের শুরুটা মোটেও ভালো ছিল না বাংলাদেশের। দলীয় ২০ রানের মাথায় বিদায় নেন ওপেনার মোহাম্মদ নাঈম। নাঈমের বিদায়ের পর দ্বিতীয় উইকেট সাকিবকে নিয়ে দ্রুত ৫০ রানের জুটি গড়েন সৌম্য সরকার। সাকিবের বিদায় একটু চাপে ফেলেছিল বাংলাদেশকে। সৌম্য ও মাহমুদুল্লাহ এরপর ইনিংস ধরে রেখেছেন, মাঝের সময়ে একটু ধীরগতির ছিলেন তারা। এর পরেই প্রয়োজনে খোলস বদলে সিরিজে দ্বিতীয় হাফ সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন সৌম্য, থেমেছেন ক্যারিয়ার-সর্বোচ্চ ইনিংস খেলেই। ৪৯ বলে ৬৮ রানের ইনিংস খেলেন এই ওপেনার। আফিফ হোসেন বেশিক্ষণ থাকেননি, তবে তার ৫ বলে ১৪ রানের ক্যামিও ছিল কার্যকরী। বাংলাদেশও থামেনি আর। আফিফের বিদায়ের পর দলকে উদ্ধার করেন মূলত অধিনায়ক মাহমুদুল্লাহ ও শামীম। দলকে জয়ের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে মাহমুদুল্লাহ ২৮ বলে ফিরে যান ৩৪ রানে। তাতে ছিল ১টি চার ও দুটি ছয়। এই ঘুরে দাঁড়ানো পরিস্থিতিতে শামীমের অবদানও কম নয়। ১৫ বলে ঝড়ো গতির ৩১ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলে জয়ের বন্দরে পৌঁছে দেন বাংলাদেশকে। তার ইনিংসে ছিল ৬টি চারের মার। জিম্বাবুয়ের হয়ে দুটি করে উইকেট নেন পেসার ব্লেসিং মুজারাবানি ও লুক জংওয়ে।

এর আগে টানা দ্বিতীয় ম্যাচে বাংলাদেশের বোলিংয়ের ওপর ছঁড়ি ঘোরায় জিম্বাবুয়ে। টস জিতে ব্যাট করে ৫ উইকেটে তারা সংগ্রহ করে ১৯৩ রান। হারারেতে এই বড় স্কোরের পেছনে তিনজনের বড় অবদান! তাসকিন আহমেদ, নাসুম আহমেদ ও সাইফুদ্দিন। উদার হস্তে চার ওভারে রান দেওয়াতেই ফুলে- ফেঁপে ওঠে স্বাগতিকদের সংগ্রহ। সবচেয়ে ব্যয়বহুল ছিলেন সাইফুদ্দিন। এদের মাঝে তাসকিনের চতুর্থ ওভারে আসে ২১ রান। এর পর ১১তম ওভারে নাসুমের ওভারে ২১ ও সাইফের ১৮তম ও ২০তম ওভারে ওঠে ১৯ ও ১৬ রান। টি-টোয়েন্টিতে এমন কয়েকটি ওভারই জয়ের পুঁজি পেতে যথেষ্ট। এদিন জিম্বাবুয়ের ইনিংসে ব্যাট হাতে ধ্বংসলীলায় নেতৃত্ব দেন ওয়েসলি মাধেভেরে। আগের ম্যাচে ফিফটির স্বাদ পাওয়া এই ব্যাটসম্যান গতকালও খেলেছেন পঞ্চাশোর্ধ রানের ইনিংস। তার ৩৬ বলে ৫৪ রানের ইনিংসের সঙ্গে রেজিস চাকাভার ২২ বলে ৪৮ ও রায়ান বার্লের ১৫ বলে ৩৫ রানের ওপর ভর করে ১৯৩ রানের বিশাল সংগ্রহ পায় জিম্বাবুয়ে। বাংলাদেশের হয়ে সৌম্য সরকার ২টি এবং সাকিব আল হাসান ও মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন ১টি করে উইকেট নেন।

সূত্র : মানবজমিন 





আর্কাইভ