শিরোনাম:
ঢাকা, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১
---

Newsadvance24
সোমবার ● ২৭ মে ২০২৪
প্রথম পাতা » চট্টগ্রাম » মেঘনায় জোয়ারের পানিতে রামগতি-কমলনগরের উপকূলীয় এলাকা প্লাবিত, হুমকিতে লক্ষাধিক মানুষ
প্রথম পাতা » চট্টগ্রাম » মেঘনায় জোয়ারের পানিতে রামগতি-কমলনগরের উপকূলীয় এলাকা প্লাবিত, হুমকিতে লক্ষাধিক মানুষ
২৯৯ বার পঠিত
সোমবার ● ২৭ মে ২০২৪
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

মেঘনায় জোয়ারের পানিতে রামগতি-কমলনগরের উপকূলীয় এলাকা প্লাবিত, হুমকিতে লক্ষাধিক মানুষ

ইউছুফ আলী মিঠু, নিউজ এ্যাডভান্স

 ---

কমলনগর (লক্ষ্মীপুর) : ঘুর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে টানা বৃষ্টি ও প্রচন্ড বাতাসে লক্ষ্মীপুরের রামগতি ও কমলনগরের মেঘনা নদীর তীরবর্তী এলাকা প্লাবিত হয়ে পড়েছে। এতে হুমকিতে রয়েছেন দুই উপজেলার প্রায় লক্ষাধিক মানুষ। দুই দিনের টানা ঝড়ে উপজেলার বিভিন্ন এলাকার গাছ-পালা, কাঁচা ঘর পড়ে ব্যপক ক্ষতি হয়েছে। অতিরিক্ত জোয়ারে কমলনগর উপজেলার মাতাব্বরহাট এলাকায় এবং রামগতি উপজেলার একাধিক স্থানে নির্মাণাধীন বেঁড়িবাঁধে ধস নেমেছে। এতে আতংকিত হয়ে স্থানীয় বাসিন্দারা।

দুপুরে মেঘনাপাড়ে গিয়ে দেখা গেছে নদী খুবই উত্তাল। জেলেরা তাদের নৌকাগুলো নিকটবর্তী খালে নোঙ্গর করে নিরাপদ আশ্রয়ে রয়েছেন। বিকেলে জোয়ারে পানিতে কমলনগরের চরকালকিনি, চৌধুরী বাজার, চরমার্টিন, চরলরেন্সের কিছু অংশ, চরফলকন ও পাটারিরহাট এবং রামগতির চরআবদুল্লাহ, আলেকজান্ডার, সহ প্রায় এলাকা প্লাবিত হয়ে পড়েছে। এবং ভেসে গেছে বেশির ভাগ মানুষের পুকুরের মাছ।

কমলনগরেে মাতাববরহাট এলাকার মেঘনাপাড়ের বাসিন্দা নয়ন আক্তার জানিয়েছেন, দুই দিনের জোয়ারে তাদের বাড়ি ঘরে পানি উঠে তারা ঘরবন্দী হয়ে পড়েছেন।

দক্ষিণ চরমার্টিন এলাকার বাসিন্দা আলমগীর হোসেন বলেন, জোয়ারের পানিতে বাড়ির আশপাশ তলিয়ে গেছে। বাড়িতে গরু আছে। পানি উঠায় গরু নিয়ে সমস্যায় পড়তে হয়েছে।

---

চরকালকিনি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাস্টার মোহাম্মদ সাইফুল্লাহ জানান, গত দুই দিনের জোয়ারে তার ইউনিয়নের সব এলাকার ডুবে গেছে। জোয়ারের পানিতে সকল রাস্তা ঘাট ব্যপক নষ্ট হয়ে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।

লক্ষ্মীপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী নাহিদ উজ জামান খান বলেন, অতিরিক্ত জোয়ারের কারণে মেঘনা নদীতে নির্মাণাধীন বাঁধের কয়েকটি পয়েন্ট সমস্যা হয়েছে। ঝড়ের পরে তা তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

কমলনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুচিত্র রঞ্জন দাস বলেন, রোববার থেকে এখন পর্যন্ত ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় রয়েছি। যেখানে সমস্যা হচ্ছে;সেখানে ছুটে যাচ্ছি। ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় খাবারের সমস্যা হলে সাথে সাথেই ব্যবস্থা করছি। এখন পর্যন্ত বড় ধরনের কোন সমস্যা হয়নি। যে কোন সমস্যায় প্রশাসনের সকল স্তরে প্রস্তুতি রয়েছে।





আর্কাইভ