শিরোনাম:
ঢাকা, মঙ্গলবার, ১২ আগস্ট ২০২৫, ২৮ শ্রাবণ ১৪৩২
---

Newsadvance24
বুধবার ● ৬ আগস্ট ২০২৫
প্রথম পাতা » চট্টগ্রাম » কমলনগরে জামায়াতের মিছিল শেষে দু’পক্ষের হামলা, আহত ৪ ‎
প্রথম পাতা » চট্টগ্রাম » কমলনগরে জামায়াতের মিছিল শেষে দু’পক্ষের হামলা, আহত ৪ ‎
১০৮ বার পঠিত
বুধবার ● ৬ আগস্ট ২০২৫
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

কমলনগরে জামায়াতের মিছিল শেষে দু’পক্ষের হামলা, আহত ৪ ‎

‎কমলনগর (লক্ষ্মীপুর) প্রতিনিধি

---

তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে লক্ষ্মীপুরের কমলনগরে জামায়াতের মিছিলে শেষে দু’পক্ষের হামলায় চার জন আহত হয়েছে। গত কাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায়

‎জামায়াতে ইসলামীর উদ্যোগে উপজেলার হাজিরহাট বাজারে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষ্যে আয়োজিত মিছিল শেষে এ হামলার ঘটনা ঘটে। ওই সময় জামায়াতের হাজিরহাট বাজার শাখার সভাপতি আইয়ুব আলী, আল মাহমুদ ওমর, জুলাই যোদ্ধা আইমান তাকিব সহ চারজন আহত হন।   পরিস্থিতি সামাল দিতে পুলিশ দুই জনকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। পরে  মুচলেকা নিয়ে রাতে তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়। এদিকে আইমান তাকিবের মা উপজেলা  মহিলা জামায়াতের সাবেক সেক্রেটারি উম্মেকুলছুমের দাবি একটি পক্ষ মিছিলে না যাওয়ায় ছাত্রলীগের ট্যাগ দিয়ে তার ছেলেকে দফায় দফায় এলোপাতাড়ি পিটিয়ে আহত করে পুলিশে দেয়।

‎জানা যায়, ৫ই আগস্ট মঙ্গলবার  সন্ধ্যায় জুলাই গণঅভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষ্যে কমলনগরের হাজিরহাট বাজারের জামায়াত ইসলামি বাংলাদেশ একটি বিজয় মিছিল করে। মিছিল শেষে তাদের সমাবেশ চলছিলো। পূর্বের তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ওই সময় আল মাহমুদ ওমর- জামাতের হাজিরহাট বাজার শাখার সভাপতি আইয়ুব আলীকে কটুক্তি মূলক মন্তব্য করে। পরে তাৎক্ষণিক আইয়ুব আলী ও তার ভাই জামাত নেতা মো. ইউনুছসহ আইয়ুব আলীর অনুসারীরা আল মাহমুদ ওমর ও তার বন্ধু আইমান তাকিবকে বেধড়ক পিটায়। পরে জনরোষ থেকে বাঁচাতে তাদের পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়। এ ঘটনায় গতকাল রাত থেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সমালোচনার ঝড় ওঠে। সামাজিক মাধ্যমে প্রকাশ পায় আয়মান একজন জুলাই যোদ্ধা।

‎এ বিষয়ে হাজিরহাট বাজার শাখা জামায়াতের সভাপতি আইয়ুব আলী বলেন, মিছিল শেষে আইমান ও ওমর তাকে নিয়ে বিভিন্ন কটুক্তি করে। পরে আমি তাদের ডেকে বিষয়টি জানতে চাই। এতে তারা ক্ষিপ্ত হয়ে অতর্কিত আমার উপর হামলা চালায়।

‎এদিকে জুলাই যোদ্ধা আইমান তাকিবের মা সাবেক মহিলা জামায়াতে সেক্রেটারি উম্মে কুলছুম বলেন, আমি গত ১৮বছর থেকে মহিলা জামায়াতের রাজনীতির সাথে জড়িত।  বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের সময় প্রায় এক বছর জেল খেটেছি। আমার ছেলে লক্ষ্মীপুরে খুনি হাসিনার পতন ঘটাতে আন্দোলনে সক্রিয় অংশ গ্রহন করে। যে দলের জন্য বহু ত্যাগ স্বীকার করেছি। ওই দল এখন মিছিলে না যাওয়ায় আমার ছেলেকে ছাত্রলীগ বানিয়ে পুলিশে দেয়। এছাড়াও রাতভর অনেক নাটকের পর আমি যেন এ বিষয়ে কোন বাড়াবাড়ি করতে না পারি তার জন্য মুচলেকা নিয়ে আমার ছেলেকে মুক্তি দেয়।

‎এ বিষয়ে উপজেলা জামায়াতের আমীর মাওলানা আবুল খায়ের বলেন, দু’পক্ষই আমাদের লোক। পূর্বের তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে তাদের মধ্যে সামান্য ঝামেলা হয়েছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে আমরা পুলিশের সহযোগিতা নিয়েছি। আর এ বিষয়টি আমরা বসে সমাধান করার চেষ্টা করছি।

‎কমলমগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ তৌহিদুল ইসলাম বলেন, জামায়াতের মিছিলে শেষে দু’পক্ষের মারামারির ঘটনায় পরিস্থিতি সামাল দিতে দুই জন আটক করা হয়। পরে রাতেই জামায়াতের লোকজন এসে তাদের ছেড়ে নেয়।





আর্কাইভ