শিরোনাম:
ঢাকা, রবিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২৯ ভাদ্র ১৪৩২
---

Newsadvance24
শনিবার ● ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫
প্রথম পাতা » চট্টগ্রাম » ‎কমলনগরে পাল্টা-পাল্টি সংবাদ সম্মেলন করলেন শালা দুলাভাই
প্রথম পাতা » চট্টগ্রাম » ‎কমলনগরে পাল্টা-পাল্টি সংবাদ সম্মেলন করলেন শালা দুলাভাই
৬৪ বার পঠিত
শনিবার ● ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

‎কমলনগরে পাল্টা-পাল্টি সংবাদ সম্মেলন করলেন শালা দুলাভাই

‎কমলনগর (লক্ষ্মীপুর)  প্রতিনিধি

---

লক্ষ্মীপুরের কমলনগরে  জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরপ পাল্টা-পাল্টি  সংবাদ সম্মেলন করেন শালা দুলাভাই।  দুলাভাই জাহাঙ্গীর আলমের বাড়িতে গিয়ে হামলা ও তাকে মেরে ফেলার হুমকির  প্রতিবাদে শালা  বিরুদ্ধে শনিবার সকালে কমলনগর প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেন। এর আগে শ্যালক মাকছুদুর রহমান গত বুধবার তার পরিবারের বিভিন্ন সময়ে জাল দলিল করে ২৯ একর জমি দখল করে নেওয়ার অভিযোগ এনে দুলাভাইয়ের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করেন।

‎ওই সময় শ্যালক মাকছুদুর রহমান বলেন, ভূমিদস্যু জাহাঙ্গীর আলমকে ৪২  আগে বাবা হাজী হাছানুজ্জামান তাদের জমি জমা দেখা শুনার দায়িত্ব দেন। তখন থেকে  জাহাঙ্গীর তার বাবার সাথে প্রতারণা করে কিছু জমি নিজের নামে রেকর্ড করে নেয়। এর পর তার বড় ভাইয়ের শ্বশুর মোহাম্মদ উল্লাহ, চরকাদিরা ইউনিয়নের সফিক উল্লাহ বাংলা নেতা এ আসনের সাবেক সাংসদ মেজর (অব:) আবদুল মান্নানের সাথে আঁতাত করে তখনকার সময়ে চরকাদিরা ইউনিয়নে আমার বাবার সকল জমি রেকর্ড করে নেওয়ার পায়তারা করে ব্যর্থ হয় জাহাঙ্গীর।  এর পর সে কৌশলে  জাল দলিলের মাধ্যমে বিভিন্ন সময়ে ২৮একর ৭৩ শতাংশ জমি দখল করে নেয়। আমার বাবার মৃত্যুর পর আমরা যখন বাবার জায়গা জমির হিসাব চাইলে সে তালবাহানা শুরু করে এবং আমাদের জমির কোন দলিল পত্র দেয়না। পরে দলিলসহ  সকল কাগজ পত্র সংগ্রহ করলে তার এ সব অনিয়মের হিসাব দেখতে পাই আমরা।

‎তার অপকর্মের বিষয় নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কথা বললে সে আমার বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করেন। অভিযোগটি নিয়ে থানায় একটি বৈঠক হয়। ওই বৈঠকে বাবার সকল জমি পরিমাপের সিদ্ধান্ত হয়। পরে পারিবারিক একটি বৈঠকে জমির সকল কাগজপত্র নিয়ে বসলে ওখানেও জাহাঙ্গীর আরো ৯একর ৫৪ শতাংশ জমি কাগজ পত্রের গড়মিল দেখায়। সেই থেকে আমাদের কোন কোন জায়গায় সম্পত্তি আছে আমি জানার চেষ্টা করছি। এতে সে আরো ক্ষিপ্ত হয়ে যায়। যার কারণে এখন আবার আমার বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দেয়।  তার বাবা হাজী হাছানুজ্জামান তাদের ঘরের কাজের লোককে ২৪শতাংশ জমি দান করেছে। ওই জমিও জাহাঙ্গীর নিজের নামে রেকর্ড করে নেয়। এ জাহাঙ্গীরের জালিয়াতির হাত থেকে আমার খালা ও মামারাও  বাঁচতে পারেনি। মামা আবদুল হাকিমকে ২০০৩ সালে মৃত দেখিয়ে ২একর ৪০ শতাংশ জমি হাতিয়ে নেয়। কিন্তু আমার মামা  মারা যায় ২০২২ সালে।

‎এ দিকে জাহাঙ্গীর আলম পাল্টা সংবাদ সম্মেলন  দাবি করছেন শালা মাকছুদ তার বিরুদ্ধে যে ২৯ একর জমি দখলের কথা বলছে তার ওই পরিমান সম্পত্তিও নাই। শ্বশুরে অনুরোধে তিনি শালাদের সকল জমি বিভিন্ন দখলদারদের থেকে উদ্ধার করেছেন। সাংসদ মেজর (অব:) আবদুল মান্নানের তার শ্বশুর জমি দখলে নিয়েছেন। মেজর আবদুল মান্নানের বিরুদ্ধে আমি একাই লড়েছি। এতে অনেক মামলা হামলার স্বীকার হতে হয়েছে। এছাড়াও জাহাঙ্গীর বলেন, কাজের লোকের জমি আমার শ্বাশুড়ির নামে রেকর্ড। আমি তাঁর খালা ও মামা আবদুল হাকিমের জমি রেকর্ড করে নিয়েছি বলে যে অভিযোগ আনা করা হয়েছে তাহাও  সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট। আমি দীর্ঘদিন সৌদি আরবে ছিলাম। বিদেশ থাকা অবস্থায় তার মামাদের ওই জমি আমার স্ত্রীর সালমা বেগমের নামে কিনেছি। ওই জমি আমার শ্বাশুড়ির  রফিকা খাতুনের নামে আর.এস ১০০৮ নং খতিয়ানে রেকর্ড করে নেয় মাকছুদ। পরবর্তীতে উক্ত খতিয়ানের রেকর্ডের বিরুদ্ধে এল.এস.টি মামলা করি।যা আদালতে বিচারাধীন।

‎জাহাঙ্গীর বলেন আমার বিরুদ্ধে মাকছদ ইতোপূর্বে যে সংবাদ সম্মেলন ও সংবাদ পরিবেশন করান তাহা সম্পূর্ণ অসত্য, ভিত্তিহীন ও কাল্পনিক। তার থেকে আমি টাকা পাই। ওই টাকার জন্য চাপ প্রয়োগ করলে মাকছুদ আমার বাড়িতে গিয়ে আমার ঘরের সকল মালামাল ভাঙচুর করে। এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আমাকে মেরে ফেলার হুমকি দেয়। নিরুপায় হয়ে আমি থানায় অভিযোগ দেই। পরে তার অন্য ভাইরা গিয়ে মুচলেকা দিয়ে তাকে থানা থেকে ছাড়িয়ে আনে। এর পর মাকছুদ দক্ষিণ চর কাদিরা মৌজায় তার বড় বোন ছালমা বেগম ও আমার মালিকীয় ৪৮ শতাংশ জমি জোরপূর্বক দখল করে নেয় এবং ছালমা বেগমের আরও ৮একর জমি দখল করার পাঁয়তারা করলে আমি কমলনগর থানায় গত ১সেপ্টেম্বর একটি অভিযোগ দায়ের করি। এতে নিজের অপকর্ম ঢাকতে  আমার বিরুদ্ধে  প্রেসক্লাবে মিথ্যা তথ্য প্রদান করে উক্ত সংবাদ সম্মেলন করে। আমিও প্রকৃত ঘটনার বিচার চাই।





আর্কাইভ