শিরোনাম:
ঢাকা, সোমবার, ৩০ জুন ২০২৫, ১৬ আষাঢ় ১৪৩২
---

Newsadvance24
মঙ্গলবার ● ২৪ জুন ২০২৫
প্রথম পাতা » চট্টগ্রাম » কমলনগরে খালা শ্বাশুড়িকে ধর্ষণের পর হত্যা, মূল হোতা গ্রেপ্তার
প্রথম পাতা » চট্টগ্রাম » কমলনগরে খালা শ্বাশুড়িকে ধর্ষণের পর হত্যা, মূল হোতা গ্রেপ্তার
৭৩ বার পঠিত
মঙ্গলবার ● ২৪ জুন ২০২৫
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

কমলনগরে খালা শ্বাশুড়িকে ধর্ষণের পর হত্যা, মূল হোতা গ্রেপ্তার

কমলনগর (লক্ষ্মীপুর) প্রতিনিধি

---

লক্ষ্মীপুরের কমলনগরে ছালেহা বেগম(৫৪) নামে এক নারীকে হত্যার রহস্য উদঘাটন করেছেন পুলিশ। হত্যাকান্ডের সঙ্গে জড়িত ভাগনী জামাই মো.সেলিম (৪৭)কে ঢাকার আশুলিয়া থানার পলাশবাড়ী বটতলী এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃত সেলিম কমলনগর উপজেলার কালকিনি ইউনিয়নের চর সামছুদ্দিন এলাকার নুরুল আমিনের ছেলে। মঙ্গলবার দুপুরে প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য দেন থানা পুলিশ।

প্রেস ব্রিফিংয়ে কমলনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ তৌহিদুল ইসলাম বলেন, ভাগনী জামাই সেলিম দীর্ঘদিন থেকে ঢাকার আশুলিয়া এলাকায় ভাসামান শরবত বিক্রি করতেন। ঈদ-উল-আযহা উপলক্ষে বাড়িতে বেড়াতে এসে খালা শ্বাশুড়ি ছালেহার সাথে মোবাইল ফোনে কথা বলে পরকীয়া প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তুলেন । গত রোববার (১৫জুন) রাতে এশার নামাজের পর আসামী মোঃ সেলিম মোবাইল ফোনের মাধ্যমে কথা বলে ছালেহাকে ঘর থেকে বের করে পাশ্ববর্তী নুরু মিয়া সর্দারের পরিত্যক্ত বাড়িতে নিয়ে যায়। ওখানে রাতভর ধর্ষণের পর শ্বাসরোধ করে হত্যা করে সে। পরে ছালেহার সাথে থাকা স্বর্ণের ৩টি আংটি কানের দুল গলার চেইনসহ ১৪ আনার ওজনের স্বর্ণালংকার নিয়ে পালিয়ে যায় সেলিম। পরের দিন দুপুরে ওই পরিত্যক্ত বাড়ির পাশে শিশুরা বল খেলতে গিয়ে একটি মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে চিৎকার দেয়। পরে এলাকাবাসী পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠায়। ঘটনার পর থেকে সেলিম পলাতক ছিলেন। এ ঘটনায় ছালেহার মেয়ে বাদি হয়ে মামলা করেন। পরে মৃত ছালেহার মোবাইল কল লিস্ট চেক করে পুলিশ তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে আসামি সেলিমকে ঢাকার আশুলিয়া থানার পলাশবাড়ী বটতলী এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করেন। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সেলিম হত্যার ঘটনা স্বীকার করে। এবং লুট হওয়া স্বর্ণালংকার আশুলিয়ার বটতলী এলাকার শুভ জুয়েলার্সের দোকানে বন্ধক রাখেন বলে জানান। মামলার তদন্তের স্বার্থে আমরা ওই জুয়েলার্সের দোকান থেকে স্বর্নলংকার জব্দ করে থানায় নিয়ে আসি।

ঘটনার সঙ্গে আর কেউ জড়িত আছে কিনা সাংবাদিকদের এক প্রশ্নে ওসি বলেন, এখন পর্যন্ত আমরা একজনকে শনাক্ত করতে পেরেছি। আমাদের তদন্ত চলমান রয়েছে। অন্য কেউ জড়িত থাকলে পরে জানানো হবে।





আর্কাইভ