শিরোনাম:
ঢাকা, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
---

Newsadvance24
বৃহস্পতিবার ● ৭ অক্টোবর ২০২১
প্রথম পাতা » চট্টগ্রাম » ঘূর্ণিঝড়ের আঘাতে ওমানে লক্ষ্মীপুরের একই পরিবারের ৩ জন নিহত
প্রথম পাতা » চট্টগ্রাম » ঘূর্ণিঝড়ের আঘাতে ওমানে লক্ষ্মীপুরের একই পরিবারের ৩ জন নিহত
৭৫৪ বার পঠিত
বৃহস্পতিবার ● ৭ অক্টোবর ২০২১
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

ঘূর্ণিঝড়ের আঘাতে ওমানে লক্ষ্মীপুরের একই পরিবারের ৩ জন নিহত

লক্ষ্মীপুর সংবাদদাতা

 

---

ওমানে ঘূর্ণিঝড় শাহিনের আঘাতে লক্ষ্মীপুরের একই পরিবারের ৩ জন নিহত হয়েছে। গতকাল বুধবার তাদের মৃতদেহ গুলো শনাক্ত করে ওই দেশের পুলিশ।

নিহতরা হলো সদর উপজেলার পাবর্তীনগর ইউনিয়নের আব্দুল করিম চেরাঙ্গ বাড়ির মৃত নুরুল আমিনের ছেলে শামছুল ইসলাম (৫৫), চাঁন কাজী বাড়ির শুক্কুর উল্লাাহ ছেলে জিল্লাল হোসেন (৪৫) ও মিঝি বাড়ির আব্দুস শহিদের ছেলে আমজাদ হোসেন হৃদয়(২৮)।

পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, নিহতরা ওমানের সাহামে উম্মে ওয়াদি লেবান পারপার নামক স্থানে খেজুর বাগানের কাজ করতেন। ঘূর্ণিঝড় শুরু হলে এদেরকে বাতাস ও পানির স্রোতে ভেসে নিয়ে যায়। পরে স্থানীয়ভাবে খোঁজাখুঁজির পর এদের ক্ষত বিক্ষত অবস্থায় তাদের মৃতদেহের সন্ধান পাওয়া যায়। শামছুল ইসলাম ও আমজাদ হোসেন হ্নদয় আপন মামা-ভাগিনা এবং ও জিল্লাাল হোসেন শামছুল ইসলাম আপন চাচাতো ভাই।

মিঝি বাড়ির এড. আরাফাত হোসেন সুমন জানান,  শামছুল ইসলাম দীর্ঘ ত্রিশ বছর ওমান প্রবাসী। তার তিন মেয়ে, এক ছেলে, স্ত্রী রয়েছে। মৃত জিল্লাল হোসেন দীর্ঘ ১৫ বছর ওমানে রয়েছে। তার তিন ছেলে, এক মেয়ে ও স্ত্রী রয়েছে। অন্যদিকে মৃত আমজাদ হোসেন হৃদয়ের তিন বোন, এক ভাই ও বাবা মা রয়েছে। তাদের মৃত্যুর খবরে পুরো এলাকাতে শোকে ছায়া নেমে এসেছে।

পার্বতীনগর ইউনিয়ন পরিচেয়ারম্যান সালা উদ্দীন ভূইয়া বলেন, বিষয়টি তিনি শুনেছেন। স্থানীয় ইউপি সদস্যের মাধ্যমে খোঁজ খবর নিচ্ছেন।

সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মামুনুর রশিদ বলেন, প্রবাসী কল্যান মন্ত্রনালয়ের মাধ্যমে মৃতব্যাক্তিদের দেশে আনার ব্যবস্থা করা হবে। এ ছাড়াও তাদের পরিবারের জন্য প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রনালয়ের মাধ্যমে আর্থিক অনুদানের ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

 প্রসঙ্গত, গত রবিবার(০৩ অক্টোবর) ওমানে ঘূণিঝড় শাহিনের ঝড়ো বাতাসের সঙ্গে তীব্র বৃষ্টি পাতে ওই এলাকা প্লাবিত হয়ে পড়ে। বাতাসের গতিবেগ ছিলো ঘণ্টায় ১২০ থেকে ১৫০ কিলোমিটার। ওই সময় ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে প্রায় দশ মিটার উঁচু ঢেউ তৈরি হয়। সব লোকদের ওমান সরকার উপকূলীয় এলাকা থেকে সরিয়ে নেওয়া হলেও এরা রয়ে যায়।

 





আর্কাইভ