শিরোনাম:
ঢাকা, বুধবার, ২২ জানুয়ারী ২০২৫, ৯ মাঘ ১৪৩১
---

Newsadvance24
শনিবার ● ২৩ নভেম্বর ২০২৪
প্রথম পাতা » চট্টগ্রাম » মেজর জলিলকে বীরত্বসূচক খেতাব দিতে হবে: আ স ম রব
প্রথম পাতা » চট্টগ্রাম » মেজর জলিলকে বীরত্বসূচক খেতাব দিতে হবে: আ স ম রব
২৪২ বার পঠিত
শনিবার ● ২৩ নভেম্বর ২০২৪
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

মেজর জলিলকে বীরত্বসূচক খেতাব দিতে হবে: আ স ম রব

নিজস্ব প্রতিনিধি, নিউজ এ্যাডভান্স

---

ঢাকা : সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধে সেক্টর ৯-এর সেক্টর কমান্ডার বীর সিপাহশালার মেজর এম এ জলিলকে মুক্তিযুদ্ধে বীরত্বপূর্ণ অবদানের জন্য রাষ্ট্রীয় খেতাব প্রদানের আহ্বান জানিয়েছেন জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি)’র সভাপতি আ স ম আবদুর রব। শুক্রবার এক বিবৃতিতে তিনি এ আহ্বান জানান। জনাব রব বলেন, মেজর জলিল এদেশের অকুতোভয় সাহসী সন্তান। যিনি ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠার পথে পা না বাড়িয়ে একটি নিশ্চিত, নিরাপদ এবং উজ্জ্বল জীবন ছুড়ে ফেলে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণের মাধ্যমে অসম সাহসিকতার সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখেন। কিন্তু স্বাধীনতার পর খুলনা সীমান্ত দিয়ে দেশের সম্পদ পাচারে তীব্র প্রতিবাদ এবং প্রতিরোধ গড়ে তোলায় ১৯৭১ সালের ৩১শে ডিসেম্বর মেজর জলিলকে গ্রেপ্তার করা হয় এবং কার্যত নজরবন্দি রাখা হয়। তিনি ছিলেন দেশের প্রথম রাজবন্দি। তিনি বলেন, ১৯৭২ সালের ২রা সেপ্টেম্বর বন্দিদশা থেকে তিনি মুক্তি পান। পরে স্বাধীন দেশের প্রথম রাজনৈতিক দল জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের সভাপতির দায়িত্ব গ্রহণ করেন। তার দেশপ্রেম ও প্রচণ্ড জাতীয়তাবাদী চেতনার বহিঃপ্রকাশে তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকার হীনস্বার্থে মুক্তিযুদ্ধে সংগ্রামী লড়াইয়ের অবদানের কোনো প্রকার স্বীকৃতি মেজর জলিলকে প্রদান করেনি। একমাত্র ৯ নম্বর সেক্টরের সেক্টর কমান্ডার ছাড়া সকল সেক্টর কমান্ডারগণকে বীরউত্তম খেতাব প্রদান করা হয়। রব বলেন, মেজর জলিলের মতো লড়াকু সৈনিককে তার প্রাপ্য বীরত্বপূর্ণ খেতাব না দেয়া সমগ্র মুক্তিযুদ্ধের জন্য কলঙ্কমূলক দৃষ্টান্ত। উল্লেখ্য, মেজর জলিল স্বাধীনতা যুদ্ধের ঊষালগ্ন থেকেই রণাঙ্গনে অংশ নেন এবং ৯ নম্বর সেক্টরে মুক্তিযুদ্ধের ঐতিহাসিক সাফল্যে বীরত্বের সঙ্গে নেতৃত্ব দেন।

গত ৫৩ বছর ধরে এ কলঙ্কের দায়মোচনের উদ্যোগ কোনো সরকারই গ্রহণ করেনি। এবার ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের মধ্যদিয়ে গঠিত অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ন্যায্যতার প্রতিষ্ঠার স্বার্থে মেজর জলিলকে মরণোত্তর ‘বীরউত্তম’ খেতাব প্রদান করে দায়মোচনপূর্বক সশস্ত্র মুক্তি সংগ্রামের প্রতি পূর্ণাঙ্গ শ্রদ্ধা প্রদর্শন করার আহ্বান জানাচ্ছি।





আর্কাইভ