শিরোনাম:
ঢাকা, মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১
---

Newsadvance24
সোমবার ● ১৮ অক্টোবর ২০২১
প্রথম পাতা » জাতীয় » অসাম্প্রদায়িক চেতনায় বাংলাদেশকে গড়তে চাই: প্রধানমন্ত্রী
প্রথম পাতা » জাতীয় » অসাম্প্রদায়িক চেতনায় বাংলাদেশকে গড়তে চাই: প্রধানমন্ত্রী
৮৪২ বার পঠিত
সোমবার ● ১৮ অক্টোবর ২০২১
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

অসাম্প্রদায়িক চেতনায় বাংলাদেশকে গড়তে চাই: প্রধানমন্ত্রী

অনলাইন ডেস্ক

 

---

একটি অসাম্প্রদায়িক চেতনায় বাংলাদেশকে গড়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, একটা অসাম্প্রদায়িক চেতনায় বাংলাদেশকে গড়তে চাই। উন্নত সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে চাই। সোনার বাংলাদেশ গড়তে চাই। যে দেশে কোনও অন্যায় থাকবে না, অবিচার থাকবে না, মানুষ সুন্দরভাবে বাঁচবে; সেটাই আমি চাই।

আজ সকালে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ‘শেখ রাসেল দিবস-২০২১’ এর উদ্বোধনী ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি এসব কথা বলেন। এবার প্রথমবারের মতো দিবসটি দেশব্যাপী জাতীয়ভাবে পালিত হচ্ছে। দিবসটির উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি বলেন, এই বাংলাদেশ সামনে কেমন হবে তার জন্য পরিপ্রেক্ষিত পরিকল্পনা করে দিয়েছি।

বাংলাদেশের আগামী দিনের চলার পথে যেন আর কোনও হত্যা, ক্যু, ষড়যন্ত্র না হয়।

বাংলাদেশের মানুষ যেন সুন্দরভাবে বাঁচতে পারে। ঘাতকের বুলেটে আর কোনও শিশুকে যেন এভাবে জীবন দিতে না হয়। আমি জাতির কাছে এই আহ্বানই জানাবো যে, আজকের শিশু আগামী দিনের ভবিষ্যৎ। কাজেই তাদের নিরাপত্তা দেওয়া, তাদের ভালোবাসা দেওয়া, তাদের সুন্দরভাবে গড়ে তোলা, তাদের জীবনটাকে সার্থক করা, অর্থবহ করা; এটাই যেন সকলের আকাক্সক্ষা হয়। এটাই যেন সকলের কর্তব্য পালনকালে সকলের আদর্শ হয়- সেটাই আমি চাই।

১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট সেনাবাহিনীর কতিপয় বিপথগামী সদস্য জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যার সময় তার ছোট ছেলে শেখ রাসেলকেও হত্যা করে। ওই সময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ল্যাবরেটরি স্কুলে (বর্তমানে ঢাকা ইউনিভার্সিটি স্কুল অ্যান্ড কলেজ) চতুর্থ শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিলেন শেখ রাসেল। নিজের ছোটভাইকে স্মরণ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, একজন শিশুকে হত্যা মানেই লাখো-কোটি শিশুর জীবনে একটা আশঙ্কা এসে যায়। স্বাধীন বাংলাদেশে আমরা দেখেছি যে পাকিস্তান হানাদার বাহিনী এদেশের যেভাবে গণহত্যা চালিয়েছিল। তারাও কিন্তু শিশুদের রেহাই দেয়নি। ছোট্ট নবজাতক শিশুকেও তারা হত্যা করেছে। এমনকি মায়ের পেটের শিশুকেও হত্যা করেছে। আবার সেই ঘটনার পুনরাবৃত্তি আমরা দেখেছি ২০০১ সালের অক্টোবরের নির্বাচনের পর বিএনপি-জামায়াত একই কায়দায়, ঠিক যেন পাকিস্তান হানাদার বাহিনী যেভাবে গণহত্যা চালিয়েছিল ওই ভাবে বাংলাদেশের বিভিন্ন জায়গায় হত্যাকা- চালিয়েছে।

অনুষ্ঠানে শিক্ষা, ক্রীড়া, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি, শিল্পকলা-সাহিত্য-সংস্কৃতি এবং বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিশু-এ ৫টি ক্যাটাগরিতে প্রতিটি ১ ভরি করে ১০টি ‘শেখ রাসেল স্বর্ণ পদক’, ১০টি ল্যাপটপ ও সার্টিফিকেট প্রদান করা হয়। এ ছাড়া, শেখ রাসেল অনলাইন কুইজ প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের ১০টি ল্যাপটপ; এবং লার্নিং এন্ড আর্নিং ডেভেলমেন্ট প্রকল্পের (এলইডিপি) আওতায় প্রশিক্ষণার্থীর মধ্যে হতে সর্বোচ্চ উপার্জনকারীদের মাঝে ৪ হাজারটি ল্যাপটপ প্রদান করা হয়।

অনুষ্ঠানে শেখ রাসেল জাতীয় শিশু-কিশোর পরিষদের উদ্যোগে সারাদেশে আয়োজিত ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতারও পুরস্কার বিতরণ করা হয়। একইসঙ্গে অনুষ্ঠানে সংযুক্ত শেখ রাসেল রোলার স্কেটিং স্টেডিয়াম প্রান্তে শেখ রাসেলের জন্মদিন উপলক্ষ্যে রোলার স্কেটিং প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণ করা হয় এবং ‘শেখ রাসেল শৈশবে ঝড়ে যাওয়া ফুল’ শীর্ষক বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ প্রকাশিত ‘শেখ রাসেল দৃপ্ত জয়োল্লাস, অদম্য আত্মবিশ্বাস’ শীর্ষক বইয়ের মোড়ক ও উন্মোচন করেন।

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব এনএম জিয়াউল আলম বক্তৃতা করেন।

শেখ রাসেল জাতিয় শিশু-কিশোর পরিষদের মহাসচিব এবং শিশু বক্তা আফসা জাফর সৃজিতা অনুষ্ঠানে তার অনুভূতি ব্যক্ত করেন।

অনুষ্ঠানে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ পরিবেশিত শেখ রাসেলের দুরন্ত শৈশব ভিত্তিক অডিও ভিজ্যুয়াল পরিবেশনা ‘শেখ রাসেল এক অনন্ত বেদনার কাব্য’ এবং ‘থিম সঙ্গ’ পরিবেশিত হয়।

অনুষ্ঠানে দ্বিতীয় পর্বে শেখ রাসেল জাতীয় শিশু কিশোর পরিষদের উদ্যোগে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানও পরিবেশিত হয়।

উল্লেখ্য, শিশু রাসেলের জীবন সম্পর্কে শিশু-কিশোরদের কাছে তুলে ধরতে সরকারের পক্ষ থেকে প্রতি বছর তাঁর জন্মদিনকে ‘শেখ রাসেল দিবস’ হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। রাষ্ট্রীয়ভাবে প্রথমবারের মতো পালিত ‘শেখ রাসেল দিবস ২০২১’ এর প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করা হয়েছে-‘শেখ রাসেল দীপ্ত জয়োল্লাস, অদম্য আত্মবিশ্বাস’।

এর আগে সকালে শেখ রাসেল দিবস-২০২১’ উদযাপন উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী গণভবনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে স্মারক ডাক টিকেট, উদ্বোধনী খাম এবং সিলমোহর অবমুক্ত করেন।





আর্কাইভ