শিরোনাম:
ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১
---

Newsadvance24
শনিবার ● ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২১
প্রথম পাতা » চট্টগ্রাম » রামগঞ্জে মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের শিকল বেঁধে নির্যাতনের ঘটনায় প্রধান শিক্ষকসহ ২জন গ্রেপ্তার
প্রথম পাতা » চট্টগ্রাম » রামগঞ্জে মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের শিকল বেঁধে নির্যাতনের ঘটনায় প্রধান শিক্ষকসহ ২জন গ্রেপ্তার
৬৬৩ বার পঠিত
শনিবার ● ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২১
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

রামগঞ্জে মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের শিকল বেঁধে নির্যাতনের ঘটনায় প্রধান শিক্ষকসহ ২জন গ্রেপ্তার

রামগঞ্জ (লক্ষীপুর) প্রতিনিধি

 

---

লক্ষীপুরের রামগঞ্জে মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের পায়ে শিকল পরিয়ে নানান ভাবে নির্যাতনের ঘটনায় প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষক মোঃ শহীদুল ইসলাম ও সহকারী শিক্ষক মোঃ আশেক এলাহী তারেককে গ্রেপ্তার করেছে রামগঞ্জ থানা পুলিশ। ১৮সেপ্টেম্বর শনিবার ভোরে মোহাম্মদীয়া বাজার পুলিশ ফাড়ির ইনচার্জ মোঃ আলমগীর হোসেন বিশেষ অভিযোন চালিয়ে তাদের নিজ বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করে লক্ষ্মীপুর জেল হাজতে প্রেরন করেছে। শিকল পরিহিত নির্যাতিত ছাত্র আরমান হোসেনের নানী পারভিন আক্তারের  দায়ের করা ২০১৩ইং সালের নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে ৭০ ধারা মোতাবেক দায়েরকৃত মামলার ভিত্তিতে পুলিশ তাদের গ্রেপ্তার করে। গ্রেফতারকৃত আশিকুর রহমান তারেক লক্ষীপুর সদর উপজেলার শ্যামগঞ্জ গ্রামের দেওয়ান বাড়ির  নুরুল আমিনের ছেলে ও প্রধান শিক্ষক শহীদুৃল ইসলাম রায়পুর উপজেলার এনায়েতপুর গ্রামের কাটব্যবসায়ী ফজলুল করিমের ছেলে।

নির্যাতিত শিক্ষার্থী মোঃ আরমান হোসেনের নানী পারভিন আক্তার জানান, নাতিকে আরবী শিক্ষা পড়াশোনা করার জন্য আমার নাতি আরমান হোসেনকে মাদ্রাসায় দিয়েছি। সেখানে যে শিকল পরিয়ে এমন নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে তা আমরা জানতান না। পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশের পর আমরা অবগত হয়েছি। এমন অমানবিক ঘটনার জন্য জড়িত শিক্ষকদের বিচার দাবি করছি।

রামগঞ্জ থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন জানান, অভিযুক্ত শিক্ষক মোঃ শহীদুল ইসলাম ও সহকারী শিক্ষক মোঃ আশেক এলাহী তারেককে গ্রেপ্তার করে লক্ষ্মীপুর জেল হাজতে প্রেরন করা হয়েছে।

উল্লেখ্য : ২০১৮ইং সনে স্বল্প সংখ্যক শিক্ষার্থী নিয়ে শহীদুল ইসলাম উপজেলার পানপাড়া বাজারে দারুল কোরআন মহিলা মাদ্রাসা নামে একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান শুরু হয়। শহীদুলের নিজ বাবা মফিজুল ইসলামকে প্রতিষ্ঠানের সভাপতি, নিজ স্ত্রী রাশেদ বেগম ও নিজের নিকট আত্বীয়কে নিয়ে একটি পরিচালনা কমিটি করে ১১জন শিক্ষক-শিক্ষিকা দিয়ে মাদ্রাসাটি পরচালনা করে আসছেন। এরই সুবাদে শিক্ষক গত ১১ সেপ্টেম্বর মাদ্রাসার নাজেরা বিভাগের ছাত্র আরমানের পায়ে শিকল পড়িয়ে সাপ্তাহব্যাপী তার উপর অমানবিক নির্যাতন চালায়। এ ছাড়াও একই বিভাগের শিক্ষার্থী জাহিদ হোসেন কে দিয়ে শহীদুল শরীর ম্যাসেজ করিয়েও বর্বর নির্যাতন করেন। একপর্যায়ে বিষয়গুলি জানাজানি হলে শহীদুল শিক্ষার্থী আরমান ও জাহিদের পরিবারের কাউকে কথা না বলার পরামর্শ দেন।

 

 





আর্কাইভ