শিরোনাম:
ঢাকা, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১
---

Newsadvance24
শনিবার ● ১০ জুলাই ২০২১
প্রথম পাতা » চট্টগ্রাম » মেঘনার ভাঙন ঠেকাতে কমলনগরে জিও টিউবে ডাম্পিংয়ের কাজ শুরু
প্রথম পাতা » চট্টগ্রাম » মেঘনার ভাঙন ঠেকাতে কমলনগরে জিও টিউবে ডাম্পিংয়ের কাজ শুরু
১০৫৫ বার পঠিত
শনিবার ● ১০ জুলাই ২০২১
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

মেঘনার ভাঙন ঠেকাতে কমলনগরে জিও টিউবে ডাম্পিংয়ের কাজ শুরু

নিজস্ব প্রতিনিধি, নিউজ এ্যাডভান্স

 

---

কমলনগর (লক্ষ্মীপুর) : মেঘনার ভাঙন ঠেকাতে লক্ষ্মীপুরের কমলনগরে জিও টিউবে ডাম্পিংয়ের কাজ শুরু হয়েছে। শনিবার দুপুরে এ কাজের উদ্বোধন করেন পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী এম এম জাহাঙ্গির হোসেন। এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন, কমলনগর উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি স্থানীয় সাংসদ প্রতিনিধি একেএম নুরুল আমিন মাষ্টার, চরফলকন ইউপি চেয়ারম্যান হাজী হারুনুর রশিদ,প্রেসক্লাব সভাপতি এম এ মজিদ ও সাধারণ সম্পাদক ইউছুফ আলী মিঠু, সহসভাপতি মুসা কালিমুল্লাহ, সাংগঠনিক সম্পাদক মোখলেছুর রহমান ধনু ও ইউপি সদস্য ইব্রাহিম খলিলসহ স্থানীয় নেতৃবৃন্দ।

পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা যায়, কমলনগর-রামগতির নদী ভাঙনরোধে একটি প্রকল্পের মাধমে প্রায় ৩১শ কোটি টাকা বরাদ্দ দেয় জাতীয় নির্বাহি কমিটি (একনেক)। ওই প্রকল্প বিভিন্ন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে বাস্তবায়ন হতে সময়ের প্রয়োজন। তাই পানি উন্নয়ন বোর্ড চলতি মৌসুমে মেঘনার ভাঙন ঠেকাতে কমলনগর ও রামগতিতে ১০টি স্পটে জিও টিউবে ডাম্পিং করার জন্য প্রায় ৭০লাখ টাকা আপদকালীন  বরাদ্দ দেয়। ওই আপদকালীর বরাদ্দের কমলনগর উপজেলার ৫টি স্পটের মধ্যে চরফলকন ইউনিয়নের মাতাব্বরহাট এলাকায় এ কাজের উদ্বোধন করা হয়।

প্রসঙ্গত:  প্রায় পাঁচ দশক ধরে ভাঙছে মেঘনা। মেঘনার অব্যাহত ভাঙনে কমলনগরের চরকালকিনি ইউনিয়নের চরকাঁকড়া, চরসামছুদ্দিন ও তালতলি, সাহেবেরহাট ইউনিয়নের চরজগবন্ধু, মাতব্বরনগর এবং চরফলকন ইউনিয়নের চরকটোরিয়া, চরকৃষ্ণপুর, মাতব্বরচর ও পাতারচর এবং পাটারীরহাট ইউনিয়নের উরিরচর, পশ্চিম চরফলকন ও ডিএস ফলকনসহ ১২টি গ্রাম সম্পূর্ণ মেঘনার গর্ভে বিলীন হয়ে যায়। এতে করে ওইসব গ্রামগুলোসহ বর্তমানে ভাঙনকবলিত এলাকার প্রায় অর্ধলক্ষাধিক মানুষ সহায় সম্বল হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে গেছেন। এদের কিছু মানুষ পার্শ্ববর্তী জেলা নোয়াখালীর সদর, সুবর্ণচর, লক্ষ্মীপুর সদর ও কমলনগর উপজেলার চরকাদিরাসহ বিভিন্ন এলাকায় বাড়িঘর নির্মাণ করে কোনোরকমে বসবাস করছেন। আবার কেউ কেউ  পাশের এলাকাতে গাদাগাদি করে বসবাস করছেন। বাকিরা আশ্রয় নিয়েছেন বিভিন্ন এলাকায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) বেড়িবাঁধের উপর। যাদের অধিকাংশেরই এখন দিন কাটে অর্ধাহার ও অনাহারে।

 





আর্কাইভ