বৃহস্পতিবার ● ২২ আগস্ট ২০২৪
প্রথম পাতা » চট্টগ্রাম » কমলনগরে পানিবন্দি মানুষের মাঝে শুকনো খাবার বিতরণ
কমলনগরে পানিবন্দি মানুষের মাঝে শুকনো খাবার বিতরণ
নিজস্ব প্রতিনিধি, নিউজ এ্যাডভান্স
কমলনগর (লক্ষ্মীপুর) :লক্ষ্মীপুরের কমলনগরে পানিবন্দি মানুষের মাঝে শুকনো খাবার বিতরণ করেছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুচিত্র রঞ্জন দাস। বুধবার রাতে উপজেলার চরকাদিরা ইউনিয়নে নৌকা করে বাড়ি বাড়ি গিয়ে এ খাবার বিতরণ করেন তিনি।
জানা যায়,গত ১০ দিনের টানা বৃষ্টি ও মেঘনা নদীর অস্বাভাবিক জোয়ারে লক্ষ্মীপুরের রামগতি-কমলনগর উপকূলের ৪০ গ্রাম ডুবে প্রায় তিন লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন। বাড়ির উঠান মাড়িয়ে বসতঘরে পানি ঢুকে পড়েছে। এমন পরিস্থিতিতে উপকূলবাসীর দুঃখ কষ্টের অন্ত নেই। এদিকে, চরাঞ্চলসহ সকল এলাকা প্লাবিত হয়েছে। নদীতে স্বাভাবিকের চেয়ে প্রায় ৬ফুটের বেশি পানি বেড়েছে। ফসলের মাঠ তলিয়ে যাওয়ায় ধানের চারা পঁচে নষ্ট হয়ে গেছে।
এ অবস্থায় আমন ধানের আবাদ অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।
রামগতি উপজেলা চর আলেকজান্ডার, চর গাজী, পোড়াগাছা, চর রমিজ, বড় খেরী, চর আবদুল্লাহ ও চর বাদাম ইউনিয়নসহ উপজেলার প্রায় সব গ্রাম পানির নিচে তলিয়ে গেছে। কমলনগর উপজেলার চর ফলকন, চর জাঙ্গালীয়া, চর কালকিনি, চর মার্টিন, চর লরেন্স, সাহেবের হাট, তোরাবগঞ্জ, চর কাদিরা ও পাটারিরহাট ইউনিয়ন এখন পানির নিচে। জোয়ারের তোড়ে উপকূলীয় ইউনিয়নের কয়েকটি কাঁচা রাস্তা ভেঙ্গে গেছে। অতিরিক্ত পানিতে তলিয়ে গেছে মাছের ঘের, শাকসবজি, আমন ধানের বীজতলা, পানের বরজ। ক্ষতগ্রস্ত হয়েছে কাঁচা ঘর-বাড়ির। বসতঘরে পানি উঠায় বেশির ভাগ পরিবারের রান্না করার চুলা পানিতে ডুবে যায়। এতে রান্না করা অসম্ভব হয়ে পড়ে। অব্যাহতভাবে পানি বাড়তে থাকায় বৃদ্ধ ও শিশুদের নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন স্বজনরা। এমন জনদূর্ভোগে বিপাকে পড়েছেন দুই উপজেলার প্রায় তিন লাখ মানুষ। চরাঞ্চলের বীজ তলার ধানের চারা নষ্ট হয়ে কুষকের সর্বনাশ হয়েছে। আমন ধানের আবাদ অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। এতে কৃষকরা হতাশ।
কমলনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুচিত্র রঞ্জন দাস বলেন, মেঘনা নদীর অস্বাভাবিক জোয়ার ও অতি বর্ষণে পানিবন্দিদের মাঝে শুকনো খাবার বিতরণ করা হচ্ছে। কোথাও খাদ্য সংকট দেখা দিলে আমাদের জানানো হলে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে আমরা তাৎক্ষণিক শুকনো খাবার পৌছে দেওয়ার ব্যবস্থা করবো।