

মঙ্গলবার ● ২ মার্চ ২০২১
প্রথম পাতা » জাতীয় » ইতিহাস বিকৃত করা যায় অস্বীকার করা যায় না
ইতিহাস বিকৃত করা যায় অস্বীকার করা যায় না
আনোয়ার হোসাইন
ইতিহাস বিকৃত করা যায়,অস্বীকার করা যায় না। আজ বাংলাদেশের প্রায় মানুষ দলিয় কারনে অন্ধ। রাজনীতি যার যার বাংলাদেশ সবার। ইতিহাস বিকৃত করে দেশ প্রেম দেখানো কোন ধরনের দেশপ্রেম বুঝে আসে না ।সময় টিভির একটা নিউজে দেখলাম চেতনা ব্যবসায়ী তরুন প্রজন্ম বলছে ২১ ফেব্রুয়ারি 30 লক্ষ শহিদ ও অসংখ্য মা বোন ইজ্জত হারিয়েছে। হা হা রিয়েক্ট দেয়া ছাড়া কোন উপায় ছিলো না। কতটা বিকৃত করা হচ্ছে আমাদের ইতিহাস। .
আজ ছোট্ট একটা সঠিক ইতিহাস জানাতে চাই যা রাজনৈতিক কারনে আজ পাঠ্যপুস্তকে নেই। এটা থাকার দরকার ছিলো আজ ২রা মার্চ -
‘নিউক্লিয়াস’-এর সিদ্ধান্ত মোতাবেক ঢা.বি. কলাভবনের ডান পাশে গাড়ি বারান্দার ছাদে ‘স্বাধীন বাংলা ছাত্র সংগ্রাম পরিষদে’র উদ্যোগে এবং নেতৃবৃন্দের উপস্থিতিতে ডাকসু’র ভি.পি ও ‘জয় বাংলা বাহিনীর কমান্ডার’ আ.স.ম. আবদুর রব নিজ হাতে ম্যাচের কাঠি জ্বালিয়ে পাকিস্তানের সাদা চাঁদতারা খচিত সবুজ পতাকা পুড়িয়ে দেন এবং মানচিত্র খচিত লাল-সবুজ পতাকা উড়িয়ে দেন।
সে-ই প্রথম জনসম্মুখে বাংলাদেশের পতাকা আনুষ্ঠানিকভাবে দেখানো হয়। পতাকা দেখে উপস্থিত জনতা প্রচন্ড আবেগ প্রবণ হয়ে পড়ে। সমগ্র এলাকা গগন বিদারী শ্লোগানে শ্লোগানে মুখরিত হয়। তারপর ছোঁয়াচে রোগের মতো ছড়িয়ে পড়ে প্রথমে সকল স্কুলকলেজে, শ্রমিক এলাকায় এবং পরে হাটে বাজারে গ্রামে গঞ্জে- সারা বাংলায়।
২রা মার্চ ১৯৭১এর শ্লোগান ছিল-
‘জিন্না মিয়ার পাকিস্তান, আজিম্পুরের গোরস্থান’;
‘জ্বালিয়ে দাও পুড়িয়ে দাও পাকিস্তানের পতাকা’।
‘ঘরে ঘরে উড়িয়ে দাও, স্বাধীন বাংলার পতাকা’।
‘তোমার দেশ আমার দেশ বাংলাদেশ বাংলাদেশ ।
লেকচারার
চন্দ্রগঞ্জ কারামতিয়া কামিল মাদরাসা