

সোমবার ● ৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫
প্রথম পাতা » চট্টগ্রাম » বই বিক্রির অভিযোগ অস্বীকার করে কমলনগরে সাংবাদিকদের সাথে অধ্যক্ষের মতবিনিময়
বই বিক্রির অভিযোগ অস্বীকার করে কমলনগরে সাংবাদিকদের সাথে অধ্যক্ষের মতবিনিময়
কমলনগর (লক্ষ্মীপুর) প্রতিনিধি
লক্ষ্মীপুরের কমলনগরে হাজিরহাট হামেদিয়া কামিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওলানা দেলওয়ার হোসেন কমলনগর প্রেসক্লাবের সকল সদস্যদের সাথে মতবিনিময় করেন।তার বিরুদ্ধে বই বিক্রির অভিযোগে বিভিন্ন অনলাইন নিউজ পোর্টালে নিউজ প্রকাশিত হওয়ায় নিউজের প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে তিনি সোমবার বিকেলে এ মতবিনিময় করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন, সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মাওলানা হুমায়ুন কবির, মাদ্রাসা গভর্নিং বডির সহসভাপতি আকতার হোসেন মিলন, সদস্য ডা: মোশাররফ হোসেন ও আবুল বয়ান প্রমুখ। মতবিনিময়ের সময় মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওলানা দেলওয়ার হোসেন বলেন, শনিবার মাদ্রাসা বন্ধ থাকায় তিনি লক্ষ্মীপুর নিজের বাড়িতে অবস্থান করছিলেন। বেলা ১২টার দিকে পুরনো কাগজপত্র ক্রয় করতে পিকআপ নিয়ে কিছু লোক মাদ্রাসায় আসেন। ওই সময় তার প্রতিষ্ঠানের পিয়ন আবদুর রহিম ওই পিকআপে ২০২৫ সালের নতুন বই দেখে পিকআপ থেকে বইগুলো নামিয়ে নেন। এই বইগুলো অন্য জায়গা থেকে কিনে এনেছে বলে পিকআপ চালক জানালে তিনি শুনেননি। এরপর মাদ্রাসা মসজিদের মুয়াজ্জিন বইসহ পিকআপের ছবি তুলেন। পরে রোববার বিকালে বিভিন্ন অনলাইন পোর্টালে অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে বই বিক্রির অভিযোগে নিউজ প্রকাশিত হয়। এ বিষয়ে আমি কিছুই জানিনা। পরে সোমবার সকালে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ রাহাত উজ জামান মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোহাম্মদ তৌহিদুল ইসলামকে তদন্তে পাঠান। শিক্ষা কর্মকর্তা সকাল থেকে তদন্ত করছেন। ওনি তদন্তে বই বিক্রির কোন প্রমাণ পাননি। তিনি বলেন আমাদের চাহিদা অনুযায়ী বই আনা হয়েছে। শিক্ষার্থীদের হাজিরা খাতা অনুযায়ী বই বিলি হয়েছে। আর বাকি বই আমাদের স্টোরে অবশিষ্ট আছে। তিনি আরো বলেন হাজিরহাট হামেদিয়া কামিল মাদ্রাসা এ অঞ্চলে একটি ঐতিহ্যবাহী দীনি প্রতিষ্ঠান। একটি পক্ষ এ প্রতিষ্ঠানে সুনাম ও আমাকে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য চক্রান্তে লিপ্ত রয়েছে। ঘটনাটি উদ্দেশ্য প্রনোদিত। এ সময় সাংবাদিকদের কাছে মাওলানা দেলওয়ার হোসেন সঠিক তদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত ঘটনা উদঘাটনের দাবি করেন। এ সময় সাংবাদিকরা মাদ্রাসার সিসিটিভি ফুটেজ দেখে তদন্ত করতে বললে ঘটনার সময় মাদ্রাসা সিসি ক্যামরা বন্ধ ছিলো বলে মাদ্রাসার অধ্যক্ষ বলেন।