শিরোনাম:
ঢাকা, মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১
---

Newsadvance24
বুধবার ● ২৯ জুন ২০২২
প্রথম পাতা » চট্টগ্রাম » রামগঞ্জে গণশৌচাগার বন্ধ থাকায় বিপাকে ব্যবসায়ী ও পথচারী
প্রথম পাতা » চট্টগ্রাম » রামগঞ্জে গণশৌচাগার বন্ধ থাকায় বিপাকে ব্যবসায়ী ও পথচারী
৫৭৭ বার পঠিত
বুধবার ● ২৯ জুন ২০২২
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

রামগঞ্জে গণশৌচাগার বন্ধ থাকায় বিপাকে ব্যবসায়ী ও পথচারী

রামগঞ্জ (লক্ষ্মীপুর) প্রতিনিধি

 

---

লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ পৌর সোনাপুরের ঐতিহ্যবাহী উত্তর বাজারের গণশৌচাগারটি দীর্ঘদিন ধরে একদল সিন্ডিকেটের কারণে বন্ধ হয়ে আছে। এখনো পর্যন্ত খোলার কোনো উদ্যোগ নেয়নি পৌরসভার মেয়র ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। এই গণশৌচাগারটি বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর বিপাকে পডড়েছেন সহস্ত্রাধিক ব্যবসায়ী এবং প্রতিদিন বাজারে আসা হাজার হাজার মানুষ।

বাজারের কয়েকজন ব্যবসায়ী বলেন, পৌর মেয়রকে বারবার এ ব্যাপারে অভিযোগ করলেও কোনো সমাধান এখনো হয়নি। গণশৌচাগাটি বন্ধ ও সংস্কারের অভাবে বিপাকে পড়তে হচ্ছে আমাদের। এছাড়াও বাজারের ড্রেনের অবস্থা বেহাল দশা। শীঘ্রই এর একটা সমাধান হওয়া দরকার।

গণশৌচাগারের দায়িত্বে থাকা কামাল হোসেন বলেন, ইজারার মেয়াদ শেষ হওয়ায় পরবর্তীতে আর ইজারা নেওয়া হয়নি, তাই পৌর মেয়র এসে বন্ধ করে দেন। কেন ইজারা নিবেন না জানতে চাইলে তিনি বলেন, গণশৌচাগারটির টাংকি ফুল, ময়লা বাহিরে চলে যায়, টাংকির পানি ড্রেন দিয়ে বের হয়ে যাওয়ায় মানুষ গালমন্দ করে। আমাকে যারা ইজারা এনে দিয়েছেন তাদের বলেছি এর একটি সমাধান না হলে আমি ইজারা নিব না। কিন্তু এখনও এ বিষয়ে কোনো সদুত্তর পাওয়া যায়নি।

সোনাপুর বাজার ব্যবসায়ী ব্যবস্থাপনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক ভিপি রফিকুল ইসলাম বলেন, কামালকে বলেছি টাংকির ময়লা পরিষ্কার করার জন্য, প্রয়োজনে বাজারে ব্যবসায়ীরা টাকা দিবে। সোনাপুর উত্তর বাজারের অন্যতম মাছ বাজার সহ কয়েকটি গলির ড্রেন দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে না। বৃষ্টি হলে বাজারে হাঁটু পরিমাণ ময়লা পানি জমাটবদ্ধ হয়ে পড়ে। পৌর সভার মেয়র মহোদয়কে অবগত করার পর আমাকে আশ্বাস দেন, কিন্তু ওই আশ্বাসে এখনও কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি।

এ ব্যাপারে স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর ফয়সাল মাল বলেন,  গণশৌচাগারটি বন্ধ রাখা হয়েছে কিছু কাজ করতে হবে। কাজ শেষ করে অচিরেই তা চালু করে জনসাধারনের ব্যবহারের জন্য খুলে দেওয়া হবে।

পৌর মেয়র আবুল খায়ের পাটোয়ারী বলেন, এখানে একদল সিন্ডিকেট কাজ করছে। আমি বারবার বলেছি পৌরসভায় এসে বিষয়গুলো সমাধান করতে, কিন্তু কেউ আসেনি। গণশৌচাগারের ব্যাপারে কামালকে বলেছি ইজারা নিয়ে কাজ শুরু করতে, কামাল পরবর্তীতে আর দেখা করেননি।

 





আর্কাইভ