শিরোনাম:
ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
---

Newsadvance24
রবিবার ● ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২১
প্রথম পাতা » চট্টগ্রাম » নদীতে মাছ শিকারে জলদস্যুসহ নানা বিড়ম্বনার শিকার জেলেরা, কমলনগরে জেলেদের অধিকার আদায়ে কোডেক’র মতবিনিময়
প্রথম পাতা » চট্টগ্রাম » নদীতে মাছ শিকারে জলদস্যুসহ নানা বিড়ম্বনার শিকার জেলেরা, কমলনগরে জেলেদের অধিকার আদায়ে কোডেক’র মতবিনিময়
৭৩৭ বার পঠিত
রবিবার ● ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২১
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

নদীতে মাছ শিকারে জলদস্যুসহ নানা বিড়ম্বনার শিকার জেলেরা, কমলনগরে জেলেদের অধিকার আদায়ে কোডেক’র মতবিনিময়

 নিজস্ব প্রতিনিধি, নিউজ এ্যাডভান্স

 

---

কমলনগর (লক্ষ্মীপুর) : লক্ষ্মীপুরের রামগতি-কমলনগরের মেঘনা উপকূলীয় এলাকায় মাছ ধরতে গিয়ে জেলেরা মৎস্য অফিস, জলদস্যু, নৌ-পুলিশ ও  কোস্টগার্ডের হাতে নানা বিড়ম্বনার শিকার হচ্ছেন। শনিবাার বিকেলে কমলনগর প্রেসক্লাবে সাংবাদিকদের সাথে এক মতবনিমিয় সভায় তারা এ সব কথা বলেন। মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের সহযোগীতায় বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা কমিউনিটি ডেভেলপমেন্ট সেন্টার (কোডেক) জেলেদের অধিকার আদায়ে এ মতবিনিময় সভার আয়োজন করেন।

প্রেসক্লাব সভাপতি এম এ মজিদের সভাপতিত্বে এ সময় উপস্থিত ছিলে কোডেকের প্রকল্প সমন্বয়কারী মোর্শেদা বেগম, মনিটরিং অফিসার দেব দুলাল হাওলাদার, ফিল্ড অফিসার মোকাম্মেল হোসেন, জেলে প্রতিনিধি, আব্দুল মতলব মাঝি, আবুল কালামসহ প্রেসক্লাবের সকল সাংবাদিক বৃন্দ।

এ সময় মেঘনা উপকূলের নানা সমস্যার কথা তুলে ধরে জেলেরা জানান, একজন জেলে হওয়ার পূর্ব শর্ত তার জেলে কার্ড। এ জেলে কার্ড তৈরীতে শুরুতেই বিড়ম্বনার শিকার হন তারা। প্রকৃত জেলে হলেও মৎস্য কর্মকর্তার নির্ধারিত কিছু দালালের মাধ্যমে মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে জেলে কার্ড তৈরি করতে হয়। এর পর মেঘনায় বা গভীর সমুদ্রে মাছ ধরতে গিয়েও পড়েন বিভিন্ন সমস্যায়। তারা বলেন, প্রতিনিয়ত জলদস্যুদের কবলে পড়তে হয় তাদের। নদীতে নৌ পুলিশ ও  কোস্টগার্ড জেলেদের নিরাপত্তার জন্য নিযুক্ত থাকলেও উল্টো তাদের হাতে আরো বেশি লাঞ্ছনার স্বীকার হতে হচ্ছে তাদের। আবার নৌ পুলিশ ও কোস্টগার্ড কারেন্ট জালের অভিযানের নামে তাদের থেকে বিকাশের মাধ্যমে তাদের স্বজনদের কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নেয়। এক শ্রেণির দালাল আছে; ওই দালালরা ডাকাত, নৌ পুলিশ ও কোস্টগার্ডের পক্ষে জেলেদের আত্মীয়-স্বজনদের কাছে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করে বিকাশের মাধ্যমে টাকা হাতিয়ে নেয়। টাকা না দিলে চলে অমানষিক নির্যাতন। আবার কোন কোন সময় তাদের মেরে নদীতে ফেলে দেওয়ি হয়। মা ইলিশ রক্ষা ও ঝাটকা সংরক্ষণ সপ্তাহে সরকারের নিষেধাজ্ঞা সময় জেলেদের জন্য খাদ্য সহায়তার নামে যে চাল দেওয়া হয় এ প্রসঙ্গে জেলে প্রতিনিধিরা বলেন, সরকারের পক্ষ থেকে যে সহায়তা করা হয় তা দিয়ে পরিবার পরিজন নিয়ে বেঁচে থাকা সম্ভব হচ্ছে না। তাই তাদের দাবি  এ খাদ্য সহায়তা না দিয়ে জেলেদেও লোনের ব্যবস্থা করলে তারা পরিবার পরিজন নিয়ে ভাল ভাবে বেঁচে থাকতে পারবে। মেঘনা বা গভীর সমুদ্রে ইলিশ উৎপাদনে সরকার যে পরিমান বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করছে; সে মোতাবেক জেলেদের তেমন কোন সুরক্ষা দেওয়া হচ্ছে না।  তাই তাদের দাবি তাদের পরিবার পরিজনের কথা চিন্তা করে সরকার যেন তাদের দিকে সঠিক নজর দেন।

 





আর্কাইভ