শিরোনাম:
ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১
---

Newsadvance24
রবিবার ● ১০ জানুয়ারী ২০২১
প্রথম পাতা » চট্টগ্রাম » কমলনগরে সাব-রেজিস্ট্রি অফিসের অনিয়ম ও দুর্নীতি, এক দলিলে সরকারের রাজস্ব ফাঁকি ৯লাখ টাকা!
প্রথম পাতা » চট্টগ্রাম » কমলনগরে সাব-রেজিস্ট্রি অফিসের অনিয়ম ও দুর্নীতি, এক দলিলে সরকারের রাজস্ব ফাঁকি ৯লাখ টাকা!
৭৭২ বার পঠিত
রবিবার ● ১০ জানুয়ারী ২০২১
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

কমলনগরে সাব-রেজিস্ট্রি অফিসের অনিয়ম ও দুর্নীতি, এক দলিলে সরকারের রাজস্ব ফাঁকি ৯লাখ টাকা!

নিজস্ব প্রতিনিধি, নিউজ এ্যাডভান্স

---

কমলনগর (লক্ষ্মীপুর)  : লক্ষ্মীপুরের কমলনগরে দলিল লেখক ও সাব-রেজিস্ট্রার সিন্ডিকেট করে সরকারের লক্ষ লক্ষ টাকার রাজস্ব ফাঁকি দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। জমির শ্রেণি পরিবর্তন করে সরকারে প্রকৃত রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে নিজেরা হচ্ছেন আঙ্গল ফুলে কলাগাছ। আবার জমির বিরুদ্ধে আদালতে মামলা চলমান জেনেও সাব-রেজিস্ট্রার মো. জাকির হোসেন বিষয়টিকে আমলে নেননি । সরকারের রাজস্ব ফাঁিকর বিষয়ে চলতি মাসের ২১তারিখে স্থানীয় আবুল কাশেম সেলিম নামের এক ব্যাক্তি সাব-রেজিস্ট্রার বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ করলে টনক নড়ে তার। পরে ওই জমির মূল্য  ১কোটি ৮লাখ টাকা নির্ধারণ করে বাকি রাজস্ব জমা দিতে দলিল গ্রহিতাকে নির্দেশ প্রধান করেন তিনি। প্রতিনিয়ত এ ভাবেই জমির শ্রেণি পরিবর্তন করে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ রয়েছে দলিল লেখক ও সাব-রেজিস্ট্রারের বিরুদ্ধে।
জানাযায়, গত ২৪ নভেম্বর উপজেলার হাজিরহাট ইউনিয়নের চরজাঙ্গালিয়া মৌজার আর,এস ৯০০নম্বর খতিয়ানের ৩২৯৫৩ ও ৩২৯৬১ দাগের ৩একর ৭১শতাংশ ভিটি ও নাল জমির প্রকৃত মূল্য  ২কোটি টাকা হলেও দলিল লেখক সাব-রেজিস্ট্রার ম্যানেজ করে ৮০লাখ ১০হাজার টাকা মূল্যে রেজিস্ট্রি করেন। এতে সরকারের প্রায় ৯লক্ষাধিক টাকা রাজস্ব হারায়। এ ছাড়াও এ জমি প্রকৃত মালিকগন এর আগে তাদের খালাতো ভাই মো. আবুল কাশেম সেলিমের কাছে একটি বায়না চুক্তির মাধ্যমে বিক্রি করে তাকে রেজিস্ট্রি না দেওয়ায় সে আদালতে মামলা করে। আদালতে মামলা চলমান জেনেও সাব-রেজিস্ট্রার মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে গোপনে কমিশন দাখিল করে গত ২৪নভেম্বর রেজিস্ট্রি করেন। এতে এলাকায় চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
স্থানীয় অভিযোগকারী আবুল কাশেম সেলিম জানান, দলিল দাতারা প্রথমে আমার সাথে বায়না চুক্তি করে। পরে জমির বেশি দাম পাওয়ায় অন্যত্র বিক্রির প্রক্রিয়া করায় আমি আদালতে মামলা করি।  মামলার কপি সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে জামা দেওয়ার পরও তারা জমির সঠিক মূল্য না দিয়ে তাদের সাথে আতাঁত করে সরকারের রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে দলিল রেজিস্ট্রি করেন।
এ বিষয়ে  দলিল লিখক মো. আজাদ উদ্দিন পলাশের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, নামজারী খতিয়ানে নাল উল্লেখ থাকায় ওই মোতাবেক রেজিস্ট্রি হয়েছে। পরবর্তিতে রিভিশনের (আরএস) সাটিফাই কপি জেলা মহাফেজ খানা থেকে উঠানো হলে বিষয়টি আমরা জেনে সরকাওে বাকি রাজস্ব জমা দেওয়ার জন্য দলিল গ্রহিতাকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে কমলনগর সাব-রেজিস্ট্রার মো. জাকির হোসেন জানান, দলিল গ্রহিতারা ভিটির খতিয়ান না দিয়ে নাল জমির খতিয়ান দেওয়ায় আমরা দলিল রেজিস্ট্রি করে দেই। কিন্তু পরবর্তীতে আমরা এ বিষয়ে জানতে পেরে সরকারের মূল রাজস্ব জমা দেওয়ার নোটিশ দেওয়া হয়েছে। আর এ জমিনের বিরুদ্ধে মামলা সম্পর্কে তিনি বলেন মামলা চলমান থাকলে দলিল রেজিস্ট্রি করা যায়। এ বিষয়ে সরকারের কোন বাধ্যা বাধকতা  নেই বলে তিনি জানান।





আর্কাইভ