শিরোনাম:
ঢাকা, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১
---

Newsadvance24
মঙ্গলবার ● ২৩ ফেব্রুয়ারী ২০২১
প্রথম পাতা » চট্টগ্রাম » কমলনগরে সহকারি মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ
প্রথম পাতা » চট্টগ্রাম » কমলনগরে সহকারি মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ
১৩৮০ বার পঠিত
মঙ্গলবার ● ২৩ ফেব্রুয়ারী ২০২১
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

কমলনগরে সহকারি মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ

নিজস্ব প্রতিনিধি, নিউজ এ্যাডভান্স

---

কমলনগর (লক্ষ্মীপুর) : লক্ষ্মীপুরের কমলনগর উপজেলা সহকারি মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. তৌহিদুল ইসলামের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। শিক্ষা কর্মকর্তা থাকাকালীন সময়ে মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে নিজকে ভারপ্রাপ্ত শিক্ষা কর্মকর্তা উপস্থাপন করে প্রধান শিক্ষক, অফিস সহকারী, আয়া, ল্যাবঅপারেটরসহ বিভিন্ন পদের নিয়োগ প্রক্রিয়া স্বাক্ষর করেন। এ ছাড়াও নতুন এমপিওতে মোটা অঙ্কের টাকা আদায়, অফিসের ফান্র্সিার, মোটরসাইকেল বিক্রি ও নতুন বই বিক্রিসহ নানান অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। এ নিয়ে মো. সামছুল হুদা নামের এক ব্যক্তি লক্ষ্মীপুর জেলা প্রশাসক বরাবরে একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ২০১২ইং সনের ১৩ই মার্চ তৌহিদুল ইসলাম সহকারি মাধ্যমিক কর্মকর্তা হিসেবে যোগদান করেন। এর পর থেকে প্রায়ই সময় তিনি ভারপ্রাপ্ত মাধ্যমিক কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। ২০১৩ইং সনের ১৬ই জুন রোকসানা আক্তার উপজেলা শিক্ষা অফিসার হিসেবে যোগদান করেন। কিন্তু মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে শিক্ষা কর্মকর্তা রোকসানা আক্তারকে আড়াল করে ভারপ্রাপ্ত শিক্ষা কর্মকর্তা হিসেবে তৌহিদুল ইসলাম ওই বছরের ১১ সেপ্টেম্বর উপজেলার চরফলকন উচ্চ বিদ্যালয়ে আবু জাকেরকে প্রধান শিক্ষক এবং ১ডিসেম্বর চরজাঙ্গালিয়া এসসি উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারি প্রধান মো. লকিয়ত উল্লাহকে প্রধান শিক্ষক হিসেবে  নিয়োগ প্রক্রিয়া স্বাক্ষর করেন। ওই সময় সহকারি শিক্ষা কর্মকর্তা মো. তৌহিদুল ইসলামের স্বেচ্ছাসারিতা অসংলগ্ন কথা বার্তার কারণে রোকসানা আক্তারের সাথে তার বিভিন্ন সময়ে কথা কাটা-কাটিও হয়েছে বহুবার। এ ছাড়াও অতিরিক্ত চাহিদা দিয়ে সরকারের বিনামূল্যের বই কিছু অসাধু প্রধান শিক্ষকদের সাথে আতাঁত করে কেজি দরে বিক্রি করছেন বলে অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। তিনি যোগদানের পর থেকে প্রতিবছর বিভিন্ন পরীক্ষায় প্রতিষ্ঠান প্রধানদের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে বিভিন্ন পরীক্ষার হলের ঠান্ডা ফি নামে হাতিয়ে নিয়ে লক্ষ লক্ষ টাকা। তার এমন কর্মকান্ডে ফুসে উঠেছে উপজেলা বিভিন্ন শিক্ষকরা। এসব অপকর্ম ঢাকাতে সুকৌশলে উপরমহল ম্যানেজ করে এ পর্যন্ত যত শিক্ষা অফিসার এসেছেন সবাইকে বদলী করে প্রায় ৯বছর যাবত একই পদে বহাল তবিয়তে রয়েছেন তিনি। তিনি সরকারের দেওয়া একটি মোটারসাইকেল বিক্রি করে দিয়েছেন এবং উপজেলা শিক্ষা অফিসের জন্য বরাদ্দকৃত ফার্নিসার বিক্রি করে দিয়ে একাডেমীক সুপারভাইজারের ফার্নিসার ব্যবহার করছেন বলেও অভিযোগ রয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন প্রধান শিক্ষক জানান, তৌহিদুল ইসলাম দীর্ঘ দিন থেকে এ উপজেলায় সহকারি শিক্ষা অফিসার হিসেবে থাকার কারণে তার অনেক অনিয়ম ও স্বেচ্ছাচারিতা রয়েছে। তিনি উপরের মহল ম্যানেজ করে বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতি করে যাচ্ছেন। তার কারণে কোন শিক্ষা অফিসার এ উপজেলাতে আসতে চায়না। আর আসলেও দ্রুত বদলী হয়ে অন্য উপজেলায় চলে যান। তৌহিদুল ইসলামের বাড়ি এ জেলাতে হওয়ায় তার এ সব অপকর্মের বিষয়ে কোন শিক্ষক মুখ খুলতে সাহস পাচ্ছে না। এ ছাড়াও কেউ তার কথার অবাধ্য হলে ওই সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধানদের বিভিন্নভাবে হয়রানি করা হয়। প্রায় ৯ বছরে এ উপজেলায় অনেক শিক্ষা অফিসার এসেছেন কেউ এক বছরও টিকতে পারেনি কিন্তু তিনি এখন পর্যন্ত বহাল তবিয়তে রয়েছেন। তেীহিদুল ইসলামের অনিয়ম ও দুর্নীতির কারণে এ উপজেলার শিক্ষা ব্যবস্থা এখন ধ্বংশের দ্বারপ্রান্তে এসে দাড়িয়েছে বলে দাবি করেন তাঁরা।
এ দিকে সহকারি শিক্ষা অফিসার মো. তৌহিদুল ইসলাম দাবি করেন, এ  রকম কোন অনিয়মের সাথে তিনি জড়িত নন। যিনি অভিযোগ দিয়েছেন তিনি সবগুলো বিষয় প্রমাণ করে দেওয়ার জন্য অনুরোধ করেন তিনি।
এ বিষয়ে জেলা শিক্ষা অফিসার মো. আব্দুল মতিন বলেন, জেলা প্রশাসক বরাবরে একটি অভিযোগ হয়েছে আমি শুনেছি। বিষয়টি নিয়ে তদন্ত চলছে।
জেলা প্রশাসক মো. আনোয়ার হোছাইন আকন্দ জানান, অভিযোগ হয়েছে কিনা এ মুহূর্ত্বে নিশ্চিত বলতে পারছিনা। তবে অভিযোগ হলে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।





আর্কাইভ