শিরোনাম:
ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
---

Newsadvance24
মঙ্গলবার ● ২৫ জানুয়ারী ২০২২
প্রথম পাতা » চট্টগ্রাম » কমলনগরের ইউপি নির্বাচন : ফলাফল বাতিল চেয়ে বিদ্রোহী প্রার্থীর মামলা
প্রথম পাতা » চট্টগ্রাম » কমলনগরের ইউপি নির্বাচন : ফলাফল বাতিল চেয়ে বিদ্রোহী প্রার্থীর মামলা
৮৭৫ বার পঠিত
মঙ্গলবার ● ২৫ জানুয়ারী ২০২২
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

কমলনগরের ইউপি নির্বাচন : ফলাফল বাতিল চেয়ে বিদ্রোহী প্রার্থীর মামলা

নিজস্ব প্রতিনিধি, নিউজ এ্যাডভান্স

 

---

কমলনগর (লক্ষ্মীপুর) : লক্ষ্মীপুরের কমলনগর উপজেলার চরকাদিরা ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনের ফলাফল বাতিল চেয়ে মামলা করেছেন পরাজিত আওয়ামীলীগের বিদ্রোহী প্রার্থী আশরাফ উদ্দিন রাজন রাজু। মামলায় বিজয়ী প্রার্থী ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থী মাও. খালেদ সাইফুল্লাহসহ প্রতিদ্বন্দ্বি ৬ প্রার্থীকে বিবাদী করা হয়। নির্বাচনী ট্রাইব্যুনাল মামলাটি আমলে নিয়ে (২৪ জানুয়ারী) সোমবার ৬ প্রার্থীকে কারণ দর্শাণোর নোটিশ করেন। এর আগে ২ জানুয়ারী  বিদ্রোহী প্রার্থী রাজু ফলাফল বাতিল চেয়ে লক্ষ্মীপুর সিনিয়র সহকারী জজ আদালত ও নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালে মামলাটি দায়ের করেন।

মামলার অন্যান্য বিবাদীরা হলেন প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী হোসেন আহম্মদ হাওলাদার (আনারস), আওয়ামী লীগ মনোনীত মো. নুরুল ইসলাম (নৌকা), স্বতন্ত্র প্রার্থী ইব্রাহিম বাবুল মোল্লা (চশমা), মহি উদ্দিন হাওলাদার (ঘোড়া) ও মো. শরীফ হোসেন ( অটোরিকশা)।

জানা যায়, গত ১১ নভেম্বর দ্বিতীয় ধাপে চরকাদিরা ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ হয়। নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে সাতজন প্রার্থীর মধ্যে নির্বাচিত হন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ মনোনীত প্রার্থী হাতপাখা প্রতীকের মাওলানা খালেদ সাইফুল্লাহ। গত ২৯ নভেম্বর তার নামে গেজেট প্রকাশিত হলে শপথ নিয়ে করে তিনি চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করছেন। এর আগেও তিনি ঐ ইউনিয়নের চেয়ারম্যানের দায়িত্বে ছিলেন। নির্বাচনের পরের দিন আশ্রাাফ উদ্দিন রাজন রাজু ফুলের মালা দিয়ে খালেদ সাইফুল্লাহকে বরণ করে নেন। এসময় একে অপরকে মিষ্টিমুখও করান।

পরাজিত প্রার্থী রাজন মামলায় দাবি করেন, নির্বাচনে ভোটাররা উৎসবমুখর পরিবেশে ভোট দেন। ভোটাররা তার মোটরসাইকেল প্রতীকে ভোট দেন। তিনি ৮ নম্বর কেন্দ্রে ৮৬৩ ভোট পান। অপর কেন্দ্রগুলোতেও অনুরূপ ভোট পেয়েছেন। ফলাফল বিবরণীতে তিনি মোট ৩৭৯৭ ভোট পেয়েছেন বলে দেখানো হয়। প্রকৃতপক্ষে তার এজেন্টদের দেওয়া প্রতিবেদনে তিনি আরও ২২৫০ ভোট বেশি পেয়েছেন বলে দাবি করেন। কিন্তু মামলায় প্রথম বিবাদী হাতপাখা প্রতীকের খালেদ সাইফুল্লাার প্রাপ্ত ভোট দেখানো হয় ৪৭৬৮টি। যা প্রকৃত অবস্থার বিপরীত। মামলায় তিনি অভিযোগ করেন, প্রশসনের নির্দেশে প্রিজাইডিং অফিসাররা মোটরসাইকেলের প্রাপ্ত ভোটের ব্যালট উল্লেখযোগ্য অংশ হাতপাখার ব্যালটের বান্ডলের সঙ্গে যুক্ত করেছেন এবং মোটরসাইকেলের প্রাপ্ত ভোট কম দেখিয়ে বেআইনিভাবে তাকে পরাজিত ঘোষণা করে হাতপাখার প্রার্থীকে বিজয়ী দেখান। তার দাবি সঠিকভাবে ভোট গণনা করলে তিনি নির্বাচিত হতেন।

এ বিষয়ে বিজয়ী চেয়ারম্যান মাওলানা খালেদ সাইফুল্লাহর সাথে মুঠোফেনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমি নির্বাচিত হওয়ার পর রাজন আমাকে ফুলের মালা দিয়ে বরণ করেছেন। এখন আবার কেন ফলাফল বাতিল চেয়ে মামলা করেছেন জানিনা। সোমবার বিকেলে আমি নোটিশ পেয়েছি। আইনজীবীর সঙ্গে আলোচনা করে নোটিশের জবাব দেব।

কমলনগর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. জায়েদুল হোসেন চৌধুরী বলেন, মামলার বিষয়টি আমার জানা নেই।

 

 

 

 

 

 





আর্কাইভ