শিরোনাম:
ঢাকা, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১
---

Newsadvance24
মঙ্গলবার ● ৩০ মার্চ ২০২১
প্রথম পাতা » চট্টগ্রাম » প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া বিনামূল্যের ঘর ভাড়া দিলেন আওযামীগ নেতা
প্রথম পাতা » চট্টগ্রাম » প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া বিনামূল্যের ঘর ভাড়া দিলেন আওযামীগ নেতা
১০২০ বার পঠিত
মঙ্গলবার ● ৩০ মার্চ ২০২১
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া বিনামূল্যের ঘর ভাড়া দিলেন আওযামীগ নেতা

রামগঞ্জ (লক্ষ্মীপুর) প্রতিনিধি
---

লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেওয়া বিনামূল্যের ঘর ভাড়া দিয়ে প্রতিমাসে ৩ হাজার টাকা হারে আদায় করার অভিযোগ  উঠেছে আ’লীগ নেতার বিরুদ্ধে পাওয়া গেছে। উপজেলা আওয়ামীলীগের স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক  জিএস মিল্টনের  নিজের দ্বিতল টাইলস করা বাড়ি থাকার পরেও পৌরসভার সোনাপুর ওযার্ডের মুন্সী বাড়িতে সরকারের দেওয়া বিনামূল্যের ঘর নিয়ে ভাড়া দিচ্ছেন।
জানা যায়, প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া গৃহহীনদের  নামে ২০১৯-২০২০ইং অর্থবছরের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রান মন্ত্রনালয়ের কাবিটা কর্মসূচীর আওতায়(দুর্যোগ সহনীয় বাসগৃহ) প্রকল্পের মাধ্যমে প্রায় তিন লক্ষ টাকার ব্যায়ে ঘরটি নির্মান করা হয়। নির্মানের কয়েকদিন পরেই উপজেলা আওয়ামীলীগ নেতা জিএস মিল্টন বেবী আক্তার নামে এক হত দরিদ্রকে  তিন হাজার টাকা ভাড়া দিয়ে ভোগ করে আসছে। এ খবর উপজেলাব্যাপী বঞ্চিত গৃহহীনদের মাঝে ছড়িয়ে পড়লে সর্বস্তরের জনসাধারনের মাঝে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে ।
সরজমিনে গেলে দেখা  যায় জিএস মিল্টন  বিলাসবহুল একটি দ্বীতল ভবনে স্ব-পরিবারে বসবাস বসবাস করলেও নিজেকে গৃহহীন দেখিয়ে ২০১৯-২০ অর্থ বছরে সরকারি ঘর বরাদ্দ নিয়ে ওই দ্বিতল ভবনের পাশে সরকারী ঘরটি নির্মান করেন। উক্ত ঘরটি তার প্রয়োজনের অতিরিক্ত হওয়া তা ফরিদগঞ্জ উপজেলা এক নার্সারী  ব্যবসায়ীকে  প্রতি মাসে  তিন হাজার টাকা করে ভাড়া দেন।
সরকারী ঘরে ভাড়ায় বসবাসকৃত গৃহিনী বেবী বেগম জানান, গত এক বছর যাবত প্রতিমাসে জিএস মিল্টনকে ৩হাজার টাকা ভাড়া দিয়ে এখানে বসবাস করে আসছেন তিনি। উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা জিএস  মিল্টনের বিলাসবহুল ভবন থাকার পরও সে কিভাবে সরকারি ঘর পেয়েছে সেটা আমি জানিনা।
এ ব্যাপারে উপজেলা আওয়ামীলী নেতা জিএস মিল্টন বলেন,দ্বিতল ভবনটি আমার ভাইয়ের। আমার কোন বাড়ি নেই। জীবনে আওয়ামীলীগের কাছ থেকে কোন সুযোগ সুবিদা পাইনি। শুধুমাত্র একটি ঘর পেয়েছি। ওটা আমি ভাড়া দেইনি। ওখানে আমার এক বোন থাকে।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) দিলীপ দে জানান, সরকারী তালিকা অনুযায়ী আমি ঘর করে দিয়েছি। তবে ভাড়া দেওয়ার বিষয়ে আমি কিছু জানিনা।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তাপ্তি চাকমা বলেন, আমি রামগঞ্জে যোগদান করেছি কয়েকমাস হয়েছে। এ ঘরটি আমি দায়িত্ব নেওয়ার পূর্বেই করা হয়েছে। এ সম্পর্কে আমার কিছু জানা নাই। তবে আমি খোজ খবর নিচ্ছি। ঘটনার সত্যতা পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।





আর্কাইভ