শিরোনাম:
ঢাকা, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
---

Newsadvance24
সোমবার ● ৩ এপ্রিল ২০২৩
প্রথম পাতা » চট্টগ্রাম » কমলনগরের মেঘনায় ধরছে মাছ, প্রকাশ্যে বিক্রি হচ্ছে হাটে-ঘাটে
প্রথম পাতা » চট্টগ্রাম » কমলনগরের মেঘনায় ধরছে মাছ, প্রকাশ্যে বিক্রি হচ্ছে হাটে-ঘাটে
৮৬৪ বার পঠিত
সোমবার ● ৩ এপ্রিল ২০২৩
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

কমলনগরের মেঘনায় ধরছে মাছ, প্রকাশ্যে বিক্রি হচ্ছে হাটে-ঘাটে

নিজস্ব প্রতিনিধি,  নিউজ এ্যাডভান্স

---

কমলনগর (লক্ষ্মীপুর) :  ইলিশের উৎপাদন বাড়াতে অভয়াশ্রমে মার্চ-এপ্রিল দুই মাস মেঘনায় সকল ধরনের মাছ ধরা নিষিদ্ধ থাকলেও বাঁধা মানছেনা জেলেরা। প্রতিদিন নদী থেকে মাছ ধরে উপজেলার বিভিন্ন বাজারে এবং বাড়ি বাড়ি গিয়ে ইলিশসহ বিভিন্ন প্রজাতির মাছ প্রকাশ্যে বিক্রি করতে দেখা যাচ্ছে। ইলিশ সংরক্ষণে উপজেলা টার্সফোর্স কমিটি থাকলে তাদের কার্যক্রম প্রশ্নবিদ্ধ। আবার মৎস্য কর্মকর্তা দুষছেন কোস্টগার্ডকে। কোস্টগার্ড নাকি সঠিক সময়ে অভিযানে নামছেন না। তারা যদি সময় মতো অভিযান পরিচালনা করতো তাহলে জেলেদের মাছ ধরার সাহস পেতোনা। এদিকে স্থানীয়দের দাবি সংশ্লিষ্টদের নৌকা প্রতি দৈনিক মাসোয়ারা দিয়েই নদীতে নামছে জেলেরা। মাছঘাটের আড়ৎদাররা উপজেলার কর্তাব্যক্তিদের ম্যানেজ করে জেলেদের নদীতে নামতে বাধ্য করছেন।

জানা যায়, জাটকা সংরক্ষণের মাধ্যমে ইলিশের উৎপাদন বাড়াতে প্রতিবছর ১মার্চ থেকে ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত দুই মাস নিষেধাজ্ঞা দেয় সরকার। মেঘনা নদী ও পদ্মার কিছু অংশ নিয়ে পাঁচটি অঞ্চল অভয়াশ্রমের আওতায় আনে। এ অভয়াশ্রমের মধ্যে চাঁদপুরের ষাটনল থেকে লক্ষ্মীপুর জেলার চর আলেকজান্ডার পর্যন্ত মেঘনা নদীর নিম্ন অববাহিকার ১০০ কিলোমিটার এলাকা রয়েছে।
এসব অভয়াশ্রমে নিষিদ্ধ সময়ে মাছ ধরলে আইনে কমপক্ষে এক থেকে সর্বোচ্চ দুই বছর সশ্রম কারাদণ্ড অথবা পাঁচ হাজার টাকা পর্যন্ত জরিমানা অথবা উভয় দণ্ডের বিধান রয়েছে। অভয়াশ্রম সংশ্লিষ্ট জেলায় এ সময় মৎস্য আহরণে বিরত থাকা নিবন্ধিত জেলেদের ৮০ কেজি হারে ভিজিএফ চাল দিতে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় বরাদ্দ দিয়েছে।
নিষেধাজ্ঞার এক মাস পেরিয়ে গেলেও সরকারের উদ্দেশ্য বাস্তবায়নে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা নিতে পারেনি উপজেলা প্রশাসন। মাঝে মধ্যে নাম মাত্র অভিযান পরিচালনা করলেও কোন সুফল আসেনি।
এ বিষয়ে কমলনগর উপজেলা কোস্টগার্ড কন্টিজেন্টা কমান্ডার নাজমুল হাসান বলেন, আমাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। জেলেরা মাঝেমধ্যে রাতে নদীতে নামে এটা সত্য। কোস্টগার্ড কোন জেলে বা আড়ৎদারদের থেকে সুবিদা নিয়ে মাছ ধরতে দেয় এটা ভিত্তিহীন।
এদিকে উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা আব্দুল কুদ্দুস বলেন, আমাদের দিনের বেলা অভিযান অব্যাহত রয়েছে। রাতে জেলেরা নদীতে নামে তখনতো আমরা ব্যবস্থা নিতে পারিনা। কোস্টগার্ড একটু সক্রিয় হলে এ সমস্যা থাকতো না।
এ বিষয়ে উপকেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুচিত্র রঞ্জন দাস বলেন, মৎস্য অভয়াশ্রম রক্ষায় নিয়মিত মোবাইল কোর্ট পরিচালনা ও বাজার মনিটরিং করা হচ্ছে। তথাপি, মাঝ রাতে বা ভোরে বিভিন্ন জায়গায় মাছ বিক্রির অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে। খুব শীঘ্রই এ বিষয়ে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।





আর্কাইভ